পূর্ব আফ্রিকার দেশ মালাবিতে ঘূর্ণিঝড় ফ্রেডির আঘাতে ১৯০ জন নিহত হয়েছে। এছাড়া আহত হয়েছেন কমপক্ষে ৫৮৪ জন ও নিখোঁজ রয়েছেন ৩৭ জন। ভয়াবহ এই ঘূর্ণিঝড়ের আঘাতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে পূর্ব আফ্রিকার দেশটি।
স্থানীয় সময় সোমবার দেশটির দক্ষিণাঞ্চলে এই ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানে।
স্থানীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড়ে বেঁচে যাওয়া মানুষ ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সবাই তাদের প্রিয়জনদের সন্ধান চালিয়ে যাচ্ছে। প্রথমে মৃতের সংখ্যা ১০০ বলা হলেও পরে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৯০ জনে।
মালাবির প্রাকৃতিক সম্পদ ও জলবায়ুবিষয়ক মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড়টি দুর্বল হয়ে গেলেও এর প্রভাবে দক্ষিণাঞ্চলে ব্যাপক বৃষ্টি ও বাতাস বয়ে যাচ্ছে। যে কারণে ভারি বন্যা ও ক্ষতির আশঙ্কা বাড়ছে।
দেশটি দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থার কমিশনার চার্লস কালেম্বা মঙ্গলবার সিএনএনকে বলেছেন, ‘দক্ষিণ মালাবিতে পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে। অনেক জায়গা প্লাবিত হয়েছে। অনেক রাস্তা ও সেতু ভেঙে গেছে। বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে গেছে এবং ফোনের নেটওয়ার্কেও সমস্যা দেখা দিয়েছে। এটা আরও ভয়ানক হয়ে উঠছে।’
এ ছাড়া খারাপ আবহাওয়ার জন্য উদ্ধার অভিযানেও সমস্যা হচ্ছে বলে জানান তিনি।
মালাবির শিক্ষা মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে ঘূর্ণিঝড় ফ্রেডির আঘাতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত ১০টি জেলায় বুধবার পর্যন্ত স্কুল বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছে।
এদিকে ঘূর্ণিঝড় ফ্রেডি প্রথমে আঘাত হানে পূর্ব আফ্রিকার দেশ মোজাম্বিকে। মোজাম্বিকেও ঝড়ের আঘাতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ঝড়ের সঙ্গে প্রচন্ড বৃষ্টিপাত সৃষ্টি হয়। দেশটিতে ঘূর্ণিঝড়ের আঘাতে এখন পর্যন্ত ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা যায়।
মোজাম্বিক কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার কিছু অংশে বিদ্যুৎ সরবরাহ এবং ফোনের সংকেত বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ায় মোজাম্বিকে ক্ষয়ক্ষতি ও প্রাণহানির সংখ্যা এখনও স্পষ্ট নয়।