বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমান ও তার স্ত্রী জোবায়দা রহমানের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার ওয়ারেন্ট ইস্যু করে কোনো লাভ নেই বলে মন্তব্য করেছেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন,কারণ তারা এসব মামলায় ভয় পান না।
বুধবার(২ নভেম্বর) দুপুরে বগুড়া শহরের শহিদ টিটু মিলনায়তনে জেলা বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপি মহাসচিব এসব কথা বলেন। সম্মেলনে বিএনপি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমান ভার্চ্যুয়ালি যোগ দেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, সরকারের দুর্নীতির বিরুদ্ধে আমাদের দুর্বার লড়াই চালিয়ে যেতে হবে। আর এ লড়াই খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের জন্য নয়; এটা দেশবাসীর জন্য। অবৈধ সরকার দেশের অর্থনীতিকে ধ্বংস করেছে। ঘুস ছাড়া কোথাও কোনো কাজ হয় না। আওয়ামী লীগের কাছে মানুষের কোনো সম্মান নেই। লুট করে বিদেশে টাকা পাচার করে দেশকে ভাগাড়ে পরিণত করেছে। এখন প্রধানমন্ত্রী নিজেই বলছেন, দেশে দুর্ভিক্ষের পদধ্বনির কথা।
দেশে এখন আর কোনো নির্বাচন নিয়ে খেলা হবে না জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারকে পদত্যাগ ও সংসদ বিলুপ্ত করতে হবে।অন্তর্বর্তীকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের হাতে ক্ষমতা দিতে হবে। গঠিত নতুন নির্বাচন কমিশনের অধীনে নির্বাচন হবে। আমরা অধিকার আদায়ের সংগ্রামে পাঁচ নেতাকে হারিয়েছি।
৬০০ জনের বেশি নেতাকর্মীকে গুম করা হয়েছে এমন অভিযোগ তুলে মির্জা ফখরুল বলেন, আরও অনেককে হত্যা করা হয়েছে। মিথ্যা মামলায় খালেদা জিয়াকে গৃহবন্দি ও তারেক রহমানকে নির্বাসিত করা হয়েছে। তাই আমরা গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করছি। এ লড়াই শেষ লড়াই।
ফখরুল বলেন, এ লড়াই শুধু দেশ ও জাতিকে রক্ষার জন্য।ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকার লুটপাট ও পাচার করে দেশের অর্থনীতিকে ধ্বংস করেছে। তারা রিজার্ভ খেয়ে ফেলেছে। আমদানি করার ডলার নেই।
প্রবাসীরাও মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন। তারা এখন হুন্ডির মাধ্যমে অন্য দেশে রেমিটেন্স পাঠাচ্ছেন; তাই রিজার্ভ কমে গেছে, যোগ করেন বিএনপি মহাসচিব।
বগুড়া জেলা বিএনপি ও সম্মেলনের আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট একেএম সাইফুল ইসলামের সভাপতিত্বে সম্মেলন উদ্বোধন করেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু।
বিএনপি নেতা মীর শাহে আলম, একেএম তৌহিদুল আলম মামুন ও একেএম আহসানুল তৈয়ব জাকিরের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট একেএম মাহবুবর রহমান, সাবেক এমপি হেলালুজ্জামান তালুকদার লালু, রাজশাহী বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক এএইচএম ওবায়দুর রহমান চন্দন, বগুড়া সদরের এমপি গোলাম মোহাম্মদ সিরাজ, মোশারফ হোসেন এমপি প্রমুখ।