আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, মিয়ানমার ইস্যুতে আর উদারতা দেখানোর সুযোগ নেই। কোনো অবস্থাতেই বাস্তুচ্যুতদের ঢুকতে দেওয়া হবে না। সেখান থেকে নতুন কেউ বাংলাদেশে এলে তাকে গ্রহণ করা হবে না।
সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, মিয়ানমার ইস্যুতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী যা বলেছেন, সেটিই আমাদের সরকার ও দলের বক্তব্য। ঘটনাস্থলের আশপাশে কয়েকটি গ্রাম নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নিশ্চয়ই এ ব্যাপারে কথা বলবে। যতই উসকানি আসুক, আমরা প্রতিক্রিয়া দেব না।
তিনি আরও বলেন, ওই দেশ থেকে ছোড়া মর্টারের শেল পড়ছে আমাদের সীমান্তে। এরই মধ্যে তিনজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। আবার আকাশসীমাও লঙ্ঘন করছে; তাদের নিজেদের সমস্যার কারণে আমরা সমস্যার সম্মুখীন হব কেন? মিয়ানমার প্রসঙ্গে জাতিসংঘ ও চীনের উদ্যোগ নেওয়া উচিত।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘এখানে কনফ্লিক্ট অব ইন্টারেস্ট তাদের নিজস্ব, তবে তা পাশের দেশের জন্য যাতে আতঙ্কের না হয়, এটা তাদেরই দেখতে হবে। এ ব্যাপারে জাতিসংঘের হস্তক্ষেপ প্রয়োজন। চীনের রাষ্ট্রদূতকে বলেছি, যেহেতু মিয়ানমার চীনের কথা শোনে, তাই তাদেরও ভূমিকা রাখতে হবে। বাংলাদেশ সহযোগিতার আহ্বান জানিয়েছে চীনকে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, যুক্তরাষ্ট্রও বিএনপিকে ছেড়ে চলে গেছে। আমেরিকার প্রেসিডেন্ট বাইডেন একসঙ্গে কাজ করার অঙ্গীকার জানানোর পর বিএনপি এখন কী করবে? তাদের এখন কী বলার আছে? ক্ষমতায় বসানোর জন্য কে আসবে? ক্ষমতা থেকে হটানো বা ক্ষমতায় আসার সহায়তা কে করবে?
এ সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক ও এস এম কামাল হোসেন, উপদপ্তর সম্পাদক সায়েম খান, কার্যনির্বাহী সদস্য শাহাবুদ্দিন ফরাজী ও আনোয়ার হোসেন।