আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলি নাইক্ষ্যংছড়ি পয়েন্টে বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও জোরদার করেছে। কারণ স্থানীয়রা শনিবার, ৩ সেপ্টেম্বর মিয়ানমারের দিক থেকে হেলিকপ্টার থেকে গুলি চালানোর খবর দিয়েছে।
বান্দরবানের পুলিশ সুপার মো. তরিকুল ইসলাম এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি জানান, গত কয়েকদিন ধরে বাংলাদেশের সঙ্গে মিয়ানমার সীমান্তে উত্তেজনা বাড়ছে, যা নাইক্ষ্যংছড়ি ও ঘুমধুম সীমান্ত এলাকায় স্থানীয়দের মধ্যেও ছড়িয়ে পড়েছে।
তিনি বলেন, ‘আজ স্থানীয়রা সীমান্তের কাছে মিয়ানমারের একটি হেলিকপ্টার গুলিবর্ষণ করতে দেখেছে এবং সীমান্তের কাছে দুটি মর্টার শেল ফেলেছে।’
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সহ আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো সতর্ক রয়েছে এবং বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তের কাছে গোয়েন্দা নজরদারিও বাড়ানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন এসপি তরিকুল ইসলাম।
বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম বলেছেন, রাখাইন রাজ্যের অবনতি পরিস্থিতির কারণে এখন মিয়ানমার থেকে কেউ যাতে প্রবেশ করতে না পারে সেজন্য বাংলাদেশ ভালোভাবে প্রস্তুত।
মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশের ভূখণ্ডে মর্টার শেল নিক্ষেপের পর মিয়ানমার পক্ষকে দুইবার সতর্ক করা হয় এবং এ ব্যাপারে তীব্র প্রতিবাদ জানানো হয়।
তিনি বলেন, ‘আমরা মিয়ানমারের উস্কানি বা ফাঁদে পা দিতে চাই না।’
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গত সোমবার বাংলাদেশে নিযুক্ত মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত অং কিয়াও মোকে তলব করে এবং একদিন আগে বাংলাদেশের ভূখণ্ডে মিয়ানমারের মর্টার শেল নিক্ষেপের তীব্র প্রতিবাদ জানায়।