মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশ সীমান্তে মর্টার শেল ছোড়ার বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, আমাদের এখানে এসেছে অ্যাস্ট্রে, হঠাৎ করে চলে এসেছে৷ এ নিয়ে আমরা তাদের (মিয়ানমার) জিজ্ঞেসও করেছি। তারা আগামীতে আরও সতর্ক হবে।
বৃহস্পতিবার(১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে জাপানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের শোকসভা থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
গত ২৮ আগস্ট বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের তুমব্রু সীমান্তে মিয়ানমার থেকে দুটি অবিস্ফোরিত মর্টার শেল এসে পড়ে। এরপরই সে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
সাংবাদিকরা এ সময় জানতে চান–চলতি সপ্তাহে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরে কোন বিষয়গুলো গুরুত্ব পাবে—এর জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, ভারত সফরের আগে ইভেন্ট করে এ বিষয়ে জানানো হবে৷
হত্যাকাণ্ডের শিকার জাপানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের স্মরণে আয়োজিত শোকসভায় তাঁর স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়। সিনেট ভবনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জাপানিজ স্টাডিজ বিভাগ ও ঢাকার জাপান দূতাবাস যৌথভাবে এ শোকসভার আয়োজন করেছিল।
শোকসভায় প্রধান অতিথি ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন। তিনি বলেন, ‘একজন দূরদর্শী নেতা ও উদ্ভাবনী চিন্তক হিসেবে স্মরণীয় হয়ে থাকবেন শিনজো আবে। আঞ্চলিক ও বিশ্বশান্তির আলোচনায় ভূমিকা রাখার জন্যও তিনি স্মরণীয় হয়ে থাকবেন। ২০১৪ সালে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর জাপান সফর ও জাপানের প্রধানমন্ত্রীর (শিনজো আবে) বাংলাদেশ সফরের মধ্য দিয়ে দুই দেশের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক অনন্য উচ্চতায় পৌঁছেছিল। শিনজো আবের মৃত্যুতে বাংলাদেশ ও বিশ্ব এক গতিশীল নেতা ও সত্যিকারের বন্ধুকে হারাল।’ এ সময় শিনজো আবের সঙ্গে নিজের ব্যক্তিগত সম্পর্কের কথাও উল্লেখ করেন মোমেন।
শোকসভার বিশেষ অতিথি ও বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি বলেন, ২০১৪ সালে বাংলাদেশ-জাপান দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের এক উল্লেখযোগ্য বছর। ওই বছর বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাপান ও জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে বাংলাদেশ সফর করেন। শিনজো আবের অবদান জাপান-বাংলাদেশ সম্পর্কের বীজ রোপণ করেছে। দুই দেশের এ সম্পর্ক আরও উন্নত হবে।
শোকসভায় সভাপতির বক্তব্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মো. আখতারুজ্জামান বলেন, শিনজো আবের বাংলাদেশ সফর দেশের অনেক মেগা প্রজেক্টের ক্ষেত্রে বাস্তব অবদান রেখেছিল। জাপানের টেকনিক্যাল ও আর্থিক সহযোগিতা এসডিজি অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। একই সঙ্গে স্বল্পোন্নত থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণেও এটি ভূমিকা রাখবে। শিনজো আবের শাসনামলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ও অনেক উপকৃত হয়েছে। দ্বিপক্ষীয় একাডেমিক ও গবেষণা সহযোগিতা এ সময় এক নতুন উচ্চতায় পৌঁছায়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জাপানিজ স্টাডিজ বিভাগ জাপানোলজি নিয়ে পূর্ণাঙ্গ অধ্যয়নের একটি জায়গা। এ বিভাগের পাঠ্যসূচিতে শিনজো আবেকে অন্তর্ভুক্ত করা হবে।
শোকসভায় অন্যদের মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন জিয়া রহমান, জাপানিজ স্টাডিজ বিভাগের চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ-আল-মামুন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।