রাজধানীর মোহাম্মদপুরের কৃষি মার্কেটে আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। বৃহস্পতিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টা ২৫ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ফায়ার সার্ভিসের মিডিয়া সেলের কর্মকর্তা শাহাজান শিকদার।
তিনি জানান, আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের সঙ্গে যোগ দেন র্যাব, পুলিশ, বিজিবি ও সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা।
এর আগে বুধবার দিবাগত রাত পৌনে ৩টার ৪৩ মিনিটে দিকে আগুনের সংবাদ পায় ফায়ার সার্ভিস। ঘটনার পর পরই ফায়ার সার্ভিসের ৭টি ইউনিট গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে। তবে আগুনের তীব্রতা বাড়তে থাকলে একে একে আরও ১০টি ইউনিট গিয়ে আগুন নেভানোর কাজে অংশ নেয়।
ব্যবসায়ীরা জানান, মার্কেটটিতে পাঁচশর বেশি দোকান আছে। সেখানে ব্যবসা করেন কয়েক হাজার ব্যবসায়ী। কাঁচাবাজার ছাড়াও মার্কেটটিতে রয়েছে জুয়েলারি, প্লাস্টিক, কসমেটিকস ও জুতার দোকান। মার্কেটের ভেতরে থাকা এসির বিস্ফোরণে আগুন আরও দ্রুত ছড়ায় বলেও জানিয়েছেন কেউ কেউ।
আগুনে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ২০০ থেকে ২৫০ কোটি টাকা হয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন ব্যবসায়ীরা। তবে ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে এখনও কিছু জানানো হয়নি।
এদিকে ফায়ার সার্ভিস জানিয়েছে, মার্কেটে শাড়ি-কাপড়সহ বিভিন্ন দাহ্য পণ্যের দোকান থাকায় মুহূর্তের মধ্যে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। টিনশেড মার্কেট হওয়ায় ভেতরে ধোয়া আবদ্ধ হয়ে আছে। তাই সহসাই ভেতরে প্রবেশের সুযোগ কম। এ কারণে আগুন নিয়ন্ত্রণ প্রক্রিয়া ফায়ার সার্ভিসের জন্য বেশ কষ্টসাধ্য হয়ে উঠেছিল।
সংস্থাটি আরও জানায়, বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট বা কয়েলের আগুন থেকে আগুনের সূত্রপাত হতে পারে। এখন পর্যন্ত কারও হতাহত হওয়ার তথ্য পাওয়া যায়নি।
কৃষি মার্কেটে আগুনের সূত্রপাত বেকারি পণ্যের দোকান হক স্টোর থেকে হয়েছে বলে জানায় মার্কেটের নিরাপত্তা প্রহরীরা।
তারা জানান, কৃষি মার্কেটের প্রধান সড়কের পাশেই হক স্টোর দোকানটি। রাত তখন আনুমানিক সাড়ে ৩টা। ওই দোকান থেকে ধোঁয়া বের হতে দেখেন তারা। দ্রুত তারা বিদ্যুতের প্রধান লাইনটি বন্ধ করে দেন। এর পর নিজেরা আগুন নেভানোর চেষ্টা করতে থাকেন। সঙ্গে ফায়ার সার্ভিসকেও খবর দেন। অন্তত ২০ থেকে ২৫ মিনিট পর ফায়ার সার্ভিসের প্রথম গাড়ি আসে ঘটনাস্থলে।