বাংলাদেশি নাগরিকদের সুবিধার্থে বর্তমানে প্রচলিত ই-পাসপোর্টের পাশাপাশি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য যুক্তরাষ্ট্রে মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট (এমআরপি) পুনরায় চালু করা যায় কি না তা পর্যালোচনা করা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান।
শুক্রবার (যুক্তরাষ্ট্র সময়) বিকালে ওয়াশিংটনস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এ কথা বলেন।
ওয়াশিংটনের বাংলাদেশ দূতাবাস এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান এখন জাতিসংঘের তৃতীয় চিফ অব পুলিশ সামিট (ইউএনকপস) ও অন্যান্য কর্মসূচিতে যোগ দিতে যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের একটি প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন।
শিগগিরই ই-ভিসা চালু করা হবে বলেও জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘আমরা খুব শিগগিরই একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষর করতে যাচ্ছি এবং এমওইউ স্বাক্ষরিত হওয়ার ছয় মাসের মধ্যে ই-ভিসা প্রদান শুরু করতে পারব বলে আমরা আশাবাদী।’
আসাদুজ্জামান খান বলেন, দেশের সকল নাগরিক যাতে জাতীয় পরিচয়পত্রের (এনআইডি) সুবিধা পায় সেজন্য প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে এনআইডি বিতরণ কার্যক্রম স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
তিনি উল্লেখ করেন, মন্ত্রণালয় প্রকল্পটি নিয়ে শিগগিরই পুরোদমে কাজ শুরু করবে এবং প্রবাসীরা যাতে বিদেশে বাংলাদেশ মিশন থেকে এনআইডি কার্ড পেতে পারে তার পরিকল্পনাও হাতে নেবে।
সভায় স্বাগত বক্তব্য দেন দূতাবাসের চার্জ ডি’অ্যাফেয়ার্স মো. মেহেদি হাসান। বৈঠকে মিনিস্টার (কনস্যুলার) মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান ও ডিফেন্স অ্যাটাচে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. সাহেদুল ইসলামও বক্তব্য দেন।
ফার্স্ট সেক্রেটারি (পাসপোর্ট ও ভিসা) মোহাম্মদ আবদুল হাই মিল্টন পাসপোর্ট ও ভিসাসহ সার্বিক কনস্যুলার কার্যক্রম, চ্যালেঞ্জ এবং সম্ভাব্য করণীয় বিষয়ের ওপর একটি উপস্থাপনা পেশ করেন।
এর আগে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দূতাবাসের বঙ্গবন্ধু কর্নারে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আবক্ষ মূর্তিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে জাতির পিতার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
তিনি জাতীয় শোক দিবস ও জাতির পিতার ৪৭তম শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে দূতাবাস আয়োজিত বঙ্গবন্ধুর ওপর আলোকচিত্র প্রদর্শনীও পরিদর্শন করেন।