যুক্তরাষ্ট্র চায় আমাদের সঙ্গে ‘নিউ চ্যাপ্টার রিলেশনশিপ’ করতে চায় বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, আমরাও চাই তাদের সঙ্গে সম্পর্কের নতুন অধ্যায় শুরু করতে। যুক্তরাষ্ট্রের মাধ্যমে অনেক প্রজেক্ট ইতিমধ্যে আমাদের দেশে নেওয়া আছে, সেটি কীভাবে আরও শক্তিশালী করা যায়, তা নিয়ে আমরা আলোচনা করেছি।
রোববার (২৫ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে মার্কিন প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
দেশের গণতন্ত্রিক পরিস্থিতি ও মানবাধিকারের বিষয়ে সুশীল সমাজের সঙ্গে আলোচনা করেছে মার্কিন প্রতিনিধিদল। সেগুলো নিয়ে আলোচনা হয়েছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সেগুলো নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি। নির্বাচন নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি। মানবাধিকার ইস্যুতেও কোনো আলোচনা হয়নি।
আকসা ও জিসোমিয়া চুক্তির বিষয়ে প্রশ্নের জবাবে ড. হাছান বলেন, ঢাকায় সফররত মার্কিন প্রতিনিধিদলের সঙ্গে আমরা কোনো নির্দিষ্ট চুক্তি নিয়ে আলোচনা করিনি। তবে জিসোমিয়া চুক্তি নিয়ে আমরা কাজ করছি।
ড. হাছান বলেন, মিয়ানমার অভ্যন্তরে আরাকান আর্মির সঙ্গে দেশটির সরকারি বাহিনীর সংঘাতের ফলে বাংলাদেশের জন্য যে নিরাপত্তা ঝুঁকি তৈরি হচ্ছে, সে বিষয়ে আলোচনা করেছি।
যুক্তরাষ্ট্র এ বিষয়ে কী বলছে- জানতে চাইলে তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র মনে করে রোহিঙ্গারা মিয়ানমারে ফিরে যাওয়াটাই একমাত্র সমাধান। এ নিয়ে তারা একমত।
নিরাপত্তা নিয়ে যে ঝুঁকি তৈরি হয়েছে, তা নিরসনে কোনো আলোচনা হয়েছে কিনা- এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, নিরাপত্তা ঝুঁকি তৈরি হয়েছে, আমরা এইটুকু আলোচনা করেছি।
আঞ্চলিক নিরাপত্তা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র উদ্বেগ প্রকাশ করেছে- সে বিষয়ে জানতে চাইলে ড. হাছান বলেন, আঞ্চলিক নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগের বিষয় নিয়ে সেভাবে আলোচনা হয়নি। এছাড়া শ্রমিক অধিকার নিয়েও আলোচনা হয়নি।