ইসরায়েলে নজিরবিহীন হামলা চালিয়েছে ইরান। তবে তেহরানের এই হামলায় তেমন কোনো ক্ষতি হয়নি ইসরায়েলের, সে ক্ষেত্রে প্রতিক্রিয়া দেখানোর ক্ষেত্রে তুলনামূলকভাবে কম আগ্রাসী মনোভাব দেখাবে তারা বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
মঙ্গলবার গোয়েন্দা সূত্রের বরাত দিয়ে মার্কিন প্রশাসনের চার সিনিয়র কর্মকর্তা এ তথ্য দিয়েছেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর তথ্য অনুযায়ী, ইরানের ভূখণ্ডে ছোট ও সীমিত আকারে হামলা চালানোর চিন্তাভাবনা করছে ইসরায়েল।
দেশটি মনে করছে, ইরানের হামলার পরিপ্রেক্ষিতে তাদের এক ধরনের সামরিক শক্তি প্রয়োগ করেই জবাব দেওয়া দরকার।
বাইডেন প্রশাসনের ওই প্রশাসনিক কর্মকর্তা বলেছেন, নিজেদের পরিকল্পনা কী এবং সেটি কখন ঘটতে যাচ্ছে, সে বিষয়ে দাপ্তরিকভাবে যুক্তরাষ্ট্রকে এখনো কোনো সতর্কবার্তা দেয়নি ইসরায়েল।
‘তবে আমরা আশা করব, তারা (ইসরায়েল) আমাদের এক ধরনের সতর্কবার্তা দেবে; যাতে আমাদের সেনাদের সুরক্ষায় আমরা প্রস্তুত থাকি। এটি শুধু সামরিক বিষয়েই নয়; বরং পুরো অঞ্চলে আমাদের কূটনৈতিক মিশনের জন্যও জরুরি’, যোগ করেন তিনি।
অবশ্য ইরানে হামলা চালানোর আগে ইসরায়েল যে তাদের মিত্রদের অবগত করবেই সে নিশ্চয়তা নেই বলেও জানিয়েছেন মার্কিন ওই কর্মকর্তা।
তিনি বলেছেন, ‘আমাদের প্রস্তুতির জন্য ইসরায়েল যে আমাদের আগাম বার্তা দেবে এ নিশ্চয়তা নেই। কখন আমাদের তারা বার্তা দেবে কিংবা আদৌ দেবে কিনা, তা শুধু তারাই জানে। তবে ইসরায়েল যা করতে যাচ্ছে, সে বিষয়ে আমরা সম্ভবত আবারও আমাদের আপত্তির কথা জানাব।’
মার্কিন এ কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘যদি ইসরায়েল পাল্টা হামলা না চালায়, উত্তেজনা কমে আসবে এবং পরিস্থিতি আগের অবস্থায় ফিরবে বলে বিশ্বাস করে যুক্তরাষ্ট্র। এ মুহূর্তে এমন এক পরিস্থিতি বিরাজ করছে, যে কোনো অতিরিক্ত পদক্ষেপ অন্যান্য পাল্টাপাল্টি ঘটনার দুয়ার খুলে দেবে; যার কয়েকটি খুবই ভয়ংকর।’
১ এপ্রিল সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে অবস্থিত ইরানি কনস্যুলেটে হামলা চালায় ইসরায়েল। এতে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয় কনস্যুলেট ভবনটি। হামলায় নিহত হন দেশটির ইসলামিক বিপ্লবী গার্ডের (আইআরজিসি) শীর্ষস্থানীয় দুই কমান্ডারসহ সাতজন সামরিক কর্মকর্তা।
এই হামলার জবাবে গত শনিবার (১৩ এপ্রিল) ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে একযোগে তিনশর বেশি ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে হামলা চালায় ইরান। ইসরায়েলের ভূখণ্ডে এর আগে আর কখনো সরাসরি হামলা চালায়নি দেশটি।