বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, চা খেয়ে সময় নষ্ট করে কোনো লাভ নেই। পদত্যাগ করে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করুন।
প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, চা খাওয়ার আগে বলুন যে আপনারা তত্ত্বাবধায়ক সরকার মেনে নেবেন। আমি গতকালও (শনিবার) বলছি, একমাত্র সমাধান হচ্ছে একটি প্রতিনিধিত্বমূলক ও জবাবদিহিমূলক সরকার গঠন করতে হবে।
রবিবার(২৪ জুলাই) রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবে অ্যাসোসিয়েশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ (এ্যাব) আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপি মহাসচিব এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে গিয়ে চা খেতে অসুবিধা নেই। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, কার্যালয়ে আসলে চা খাওয়াব। তার আগে বলে দেন, নিরপেক্ষ সরকার সিস্টেম এনে দিচ্ছি।
গতকাল শনিবার আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের এক যৌথ সভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে দলীয় সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিএনপিকে উদ্দেশ করে বলেন, আমি তো বলে দিয়েছি যে তারা যদি প্রাইম মিনিস্টার অফিসও ঘেরাও করতে আসে, পুলিশ তাদের যেন বাধা না দেয়। বিশেষ করে বাংলামটরে বাধা দেয়া, এটা সম্পূর্ণ বন্ধ করে দিয়েছি।
আসুক না, হেঁটে হেঁটে যতদূর আসতে পারে; কোনো আপত্তি নেই জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেছিলেন, আমি তাদের বসাব, চা খাওয়াব, কথা বলতে চাইলে শুনব। কারণ আমি গণতন্ত্রে বিশ্বাস করি। তবে বোমাবাজি ও ভাঙচুর করলে বাধা দেব। সেটা করলে তারা উপযুক্ত জবাব পাবে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন সম্ভব নয়। নির্বাচন তখনই সম্ভব হবে যখন দেশে একটি নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার থাকবে। ওই সরকারের অধীনে একটি যে নির্বাচন কমিশন গঠন করা হবে সেই কমিশন নির্বাচন পরিচালনা করবে। তারপর আগে কোনো নির্বাচন কমিশনের পক্ষেই সম্ভব নয়।
সাবেক নির্বাচন কমিশনারের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, শুধু আমাদের কথা নয়, আগের এটিএম শামসুল হুদা যে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ছিলেন তিনিও বলেছেন দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন অত্যন্ত জটিল। পরবর্তীকালে কে এম নুরুল হুদা সাহেব ২০১৮ সালে একটা অত্যন্ত কলঙ্কময় নির্বাচন অনুষ্ঠান করেছেন তিনিও পরে বলেছেন, দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন অত্যন্ত কঠিন।
সাম্প্রতি শুরু হওয়া দেশের বিদ্যুতের লোডশেডিং ইস্যুতে বিএনপি মহাসচিব বলেন, জ্বালানির বিষয়ে সরকার কোনো পরিকল্পনা করেনি। যার কারণে এখন বিদ্যুতের সংকট দেখা দিয়েছে। রেমিটেন্স কমে আসছে।