চলমান গণসমাবেশ কর্মসূচির অধীনে আগামীকাল শনিবার রংপুরে অনুষ্ঠিত হচ্ছে বিএনপির ৪র্থ বিভাগীয় গণসমাবেশ। তবে শনিবার সমাবেশ হলেও দুইদিন আগেই বিভাগের ৮ জেলা থেকে নেতাকর্মীরা আসতে শুরু করেছেন। পুলিশি হয়রানি, পরিবহন ধর্মঘট সমস্ত পরিস্থিতি এড়াতে আগের দিনই অনেক জেলা থেকে নেতাকর্মীরা রংপুরে চলে এসেছেন। অনেকেই অবস্থান করছেন আত্মীয়ের বাসায়। সবমিলিয়ে বগুড়ায় চলছে সাজ সাজ রব।
বগুড়ার স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সময় ঘনিয়ে আসার সাথে সাথে রংপুর কালেক্টরেট ঈদগাহ মাঠে লোক সমাগম বাড়তে শুরু করেছে। রংপুর মোটর মালিক সমিতির ডাকা ধর্মঘটে বাস চলাচল বন্ধ থাকলেও ট্রেন, প্রাইভেটকার, মোটরসাইকেল এমনকি পায়ে হেঁটেও সমাবেশ মাঠে উপস্থিত হয়েছেন তারা।
পঞ্চগড় বিএনপির আহ্বায়ক জাহিরুল ইসলাম কাচ্চু ও সদস্য সচিব ফরহাদ হোসেন আজাদ বলেন, বৃহস্পতিবার রাতের ট্রেন ও শুক্রবার সকালে ট্রেনে করে পঞ্চগড় বিএনপির কয়েক হাজার নেতাকর্মী রংপুরের সমাবেশস্থলে পৌঁছেছেন। এছাড়া শুক্রবার রাতের ট্রেনে করে এবং কার, মাইক্রোবাস, মোটরসাইকেলে করে নেতাকর্মীরা সমাবেশস্থলে আসছেন।
ঠাকুরগাঁও জেলা বিএনপির সভাপতি তৈমুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক মির্জা ফয়সাল জানান, ধর্মঘটের খবর জানার পরপরই বৃহস্পতিবার পাঁচ থেকে সাত হাজার নেতাকর্মী ট্রেন ও বাসে করে রংপুরে পৌঁছেছেন। এরা রংপুরের মেট্রো এলাকার হাজিরহাট রেডিও সেন্টারের পাশে উত্তম স্কুলের মাঠে ত্রিপল টাঙিয়ে ও বারান্দায় রাত্রিযাপন করে। পরে সকালে সমাবেশস্থলে তারা যোগদান করেন। সমাবেশের মাঠে একইভাবে শুক্রবার রাত্রিযাপনের পর নেতাকর্মীরা শনিবার সমাবেশে অংশ নেবেন। এছাড়া শনিবার সকাল পর্যন্ত ট্রেন, কার, মাইক্রোবাস, মোটরসাইকেলে করে নেতাকর্মীরা সমাবেশস্থলে আসবেন।
শুক্রবার বগুড়া শহর ঘুরে দেখা যায়, পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁও, দিনাজপুর, নীলফামারী, কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাটসহ বিভাগের ৮ জেলা থেকে রংপুরে দল বেঁধে বিএনপির নেতাকর্মীরা সমাবেশে যোগ দিচ্ছেন। পরিবহন ধর্মঘট চলায় নিরাপত্তার কারণে বিএনপির নেতাকর্মীদের পরিবহন মালিকেরা বাস, ট্রাক ও মাইক্রোবাস ভাড়া দিচ্ছেন না। তবে এসব কিছুই বাধা হতে পারছেনা তৃণমূলের সামনে। আয়োজকেরা বলছেন, যেকোনো মূল্যে কালেক্টরেট মাঠে এসে সমাবেশকে সফল করতে তৃণমূলের নেতারা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।