প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি বেশি হওয়া এবং অনেকের আঙুলের ছাপ না মেলায় ভোট গ্রহণে ধীরগতি হয়েছে।
মঙ্গলবার( ২৭ ডিসেম্বর) বিকেলে ভোট গ্রহণের নির্দিষ্ট সময় শেষে রাজধানীর আগারগাঁও নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন সিইসি।
ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনেই(ইভিএম) রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভোট গ্রহণ করা হয়। এই যন্ত্রে ভোট গ্রহণে বিভিন্ন কেন্দ্রে ধীরগতি দেখা গেছে। ভোট গ্রহণের শেষ সময় বিকেল সাড়ে চারটা হলেও সাড়ে চারটার পরও সিইসি যখন সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছিলেন,তখনো রংপুরের অন্তত ৩০টি ভোটকেন্দ্রে ভোটাররা ভোট দেওয়ার জন্য অপেক্ষা করছিলেন। নিয়ম অনুযায়ী সাড়ে চারটার মধ্যে কেউ ভোটকেন্দ্রে উপস্থিত হলে তিনি ভোট দিতে পারেন।
এ বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ধীরগতির অভিযোগ অসত্য নয়। এখন যে অবস্থা দেখেছি, অনেকে লাইনে দাঁড়িয়ে আছেন। এটা শেষ করতে সাতটা–আটটা পর্যন্ত গড়িয়ে যেতে পারে।
সাড়ে চারটার পরও ভোটাররা কতটি ভোটকেন্দ্রে লাইনে দাঁড়িয়ে ছিলেন, এমন প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, কমবেশি অনেক কেন্দ্রে ভোটার আছেন।
ভোট গ্রহণে ধীরগতির কারণ নিয়ে প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, ভোটার উপস্থিতি কম হলে ধীরগতি হতো না। ভোটারদের মধ্যে উৎসাহ উদ্দীপনা আছে। এটি ইতিবাচক দিক। আবার ইভিএমে অনেকের আঙুলের ছাপ মিলছে না, ধীরগতির এটাও একটা কারণ। ভোটের পরে কমিশন মূল্যায়ন করবে এখানে অস্বাভাবিক দেরি হয়েছে কি না, বা এর কারণ কি।
রংপুর সিটি নির্বাচন অত্যন্ত শান্তিপূর্ণ হয়েছে জানিয়ে সিইসি বলেন, ভোটার উপস্থিতি ব্যাপক ছিল। স্বতঃস্ফূর্ত ছিল। নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হয়েছে বলে মনে হয়েছে। তাঁরা অনুমান করছেন ৬০ শতাংশের মতো ভোট পড়েছে। এটার এর চেয়ে বেশিও হতে পারে কমও হতে পারে। চূড়ান্ত গণনার পর বলা যাবে।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, ছয়টি আসনে সিসি ক্যামেরা ব্যবহার করা না করার বিষয়ে ইসি এখনো সিদ্ধান্ত নেয়নি। সাধারণত সিসি ক্যামেরা ব্যবহার করা হবে ইসি এই সিদ্ধান্ত নিয়ে রেখেছে। তবে সিসি ক্যামেরা ব্যবহারের পক্ষে যদি যৌক্তিক কোনো কারণ না থাকে, অর্থের অপচয় হবে কি না’ সে বিষয়টি মাথায় রাখা হবে। আমরা এটি নিয়ে ফ্যাশন করতে চাচ্ছি না। এটা যেন অর্থ বহন করে, এটার যেন উপযোগিতা থাকে, তা নিশ্চিত করে সিদ্ধান্ত নেব।