সদ্যপ্রয়াত ব্রিটিশ রানী ২য় এলিজাবেথের পক্ষে উমরাহ্ পালনের দাবি করার পর এক ইয়েমেনি নাগরিককে আটক করেছে সৌদি আরব কর্তৃপক্ষ। হারামাইন শরিফের অফিসিয়াল ফেসবুক পেইজে তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করা হয়েছে।
সোমবার পবিত্র মক্কা নগরীতে উমরাহ পালন শেষে এক ইয়েমেনি নাগরিক এই দাবি করেন। এসময় তিনি একটি ব্যানার হাতে ভিডিও করেন। পরবর্তীতে তা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশ করা হয়।
ভিডিওতে তার হাতে ধরা ব্যানারে আরবিতে লেখা রয়েছে, “রানী ২য় এলিজাবেথের বিদেহী আত্মার জন্য উমরাহ্ পালন করলাম। আল্লাহ্ তাকে জান্নাতে ধর্মপরায়ণ ব্যক্তিদের মাঝে কবুল করে নিন।”
ভিডিও প্রকাশের পরপরই তা সৌদি আরব্র ভাইরাল হয়ে গেলে তা কর্তৃপক্ষের নজরে আসে। স্থানীয় সৌদি নাগরিকরা তাকে গ্রেফতারের দাবি জানান। শেষ পর্যন্ত আইনভঙ্গ করার অভিযোগে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
উল্লেখ্য হজ ও উমরাহ্ পালনের সময় কাবা শরীফের চত্বরে কোনো রকম শ্লোগান দেয়া, ব্যানার বহন করা নিষিদ্ধ করে আইন প্রণয়ন করেছে সৌদি সরকার। এছাড়া ইসলাম ধর্ম অনুসারেও তার এই কাজ রীতিবিরুদ্ধ।
মৃত মুসলমানদের পক্ষে উমরাহ পালন করা গ্রহণযোগ্য হলেও, রাণীর মতো অমুসলিমদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়। নিয়ম অনুযায়ী ব্রিটেনের সাবেক রানি এলিজাবেথ চার্চ অফ ইংল্যান্ডের সর্বোচ্চ গভর্নর ছিলেন। এছাড়াও তিনি ছিলেন বিশ্বব্যাপী সকল অ্যাংলিকান সম্প্রদায়ের মাদার চার্চ।
গ্র্যান্ড মসজিদের নিরাপত্তা বাহিনী তাদের বিবৃতিতে জানায় “ইয়েমেনি নাগরিকত্বের একজন বাসিন্দাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তিনি গ্র্যান্ড মসজিদের ভিতরে একটি ব্যানার বহনকারী একটি ভিডিও ক্লিপ প্রকাশ করেছেন। যা ওমরাহর বিধান এবং নির্দেশাবলী লঙ্ঘন করে।
এপ্রসঙ্গে হারামাইন শরিফের প্রেসিডেন্ট এবং ক্বাবার গ্র্যান্ড ইমাম শায়েখ আব্দুর রহমান আস সুদাইস এক বিবৃতিতে বলেন, দুই পবিত্র মসজিদ কেবলমাত্র আল্লাহর ইবাদতের জন্য। কোনো নিয়মনীতি ভঙ্গ করে এমন কোনো স্লোগান বা ব্যানার এখানে প্রযোজ্য নয়।