ফিলিস্তিনের দক্ষিণ গাজার রাফার এক অংশ থেকে এক লাখ মানুষকে অন্যত্র সরে যেতে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ইসরায়েলি সেনারা। এর আগে হামাসের রকেট হামলায় তিন সেনা নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির প্রতিরক্ষা বাহিনী।
রাফা শহরে সীমিত পরিসরের অভিযান শুরুর আগে সেখানকার কয়েকটি অংশের বাসিন্দাদের আল-মাওয়াসি বা খান ইউনিসের দিকে সরে যেতে বলেছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী।
ইসরায়েলি বাহিনী দাবি করছে এটি ব্যাপক মাত্রার উচ্ছেদ কার্যক্রম নয়। যদিও শহরের পূর্ব অংশের এক লাখ মানুষকে সরে যেতে হচ্ছে।
সোমবার (০৬ মে) সকালে ইসরায়েলি ডিফেন্স ফোর্স (আইডিএফ) জানায়, তারা রাফার পূর্ব অংশের বাসিন্দাদের বিস্তৃত মানবিক অঞ্চলের দিকে সরে যাওয়ার তাগিদ দিচ্ছেন।
মানবিক অঞ্চলগুলোতে ফিল্ড হাসপাতাল, তাঁবু, খাবার, পানি, ওষুধ এবং অন্যান্য সরবরাহ বেশি পরিমাণে রয়েছে।
মাইক্রো ব্লগিং সাইট এক্সে ইসরায়েল ডিফেন্স ফোর্সের বিবৃতিতে বলা হয়, সরকারের অনুমোদন অনুযায়ী মাঠ পর্যায়ের পরিস্থিতি বিচার বিশ্লেষণ করেই পূর্ব রাফার বাসিন্দাদের পর্যায়ক্রমে মানবিক অঞ্চলে স্থানান্তর করা হবে।
প্রায় ১৪ লাখ মানুষ গাজা ভূখণ্ডের উত্তরাঞ্চল ও মধ্যবর্তী এলাকাগুলো থেকে যুদ্ধের জেরে বাস্তুচ্যুত হয়ে এই শহরটিতে আশ্রয় নিয়েছে।
হামাসের বিরুদ্ধে সাত মাস আক্রমণ চালিয়ে ইসরায়েল বলছে, রাফা অভিযান ছাড়া তাদের বিজয় অসম্ভব। তবে হামাসের একজন শীর্ষ কর্মকর্তা সামি আবু জুহরি এই অভিযানকে ‘বিপজ্জনক’ উল্লেখ করে বলেছেন, এর পরিণাম হবে ভয়াবহ।
এর আগে গাজা সীমান্তবর্তী কেরেম শ্যালম এলাকায় হামাসের রকেট হামলায় তাদের তিন সেনা নিহত হয়েছে বলে জানায় ইসরায়েল। গাজায় ত্রাণ তৎপরতার বড় অংশই কেরেম শ্যালম ক্রসিং দিয়ে পরিচালনা করা হয়। হামলার পর সারারাত ক্রসিংটি বন্ধ করে রাখে ইসরায়েল।
এ ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় রাফা শহরে চালানো ইসরায়েলি হামলায় ১২ জন নিহত হয়েছে।
হামলাগুলো এমন সময়ে হলো যখন গাজায় যুদ্ধবিরতি ও জিম্মিদের মুক্তি ব্যাপারে আলোচনা শুরু হয়েছে।