রুশ কর্মকর্তাদের বরাতে বার্তা সংস্থা বিবিসি জানিয়েছে, মধ্য রাশিয়ার একটি স্কুলে বন্দুকধারীর গুলিতে অন্তত ১৩ জন নিহত ও ২১ জন আহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে সাতজন শিশু রয়েছে। তারা ইজেভস্ক শহরের স্কুলের শিক্ষার্থী।
প্রায় একহাজার শিক্ষার্থীর ওই স্কুলে হামলা চালানো বন্ধুকধারীও ওই স্কুলের একজন প্রাক্তন শিক্ষার্থী বলে জানা গেছে। এ ঘটনার পরে তিনিও আত্মহত্যা করেছেন।
রাশিয়ার গণমাধ্যমে প্রকাশিত ভিডিওতে দেখা গেছে, গুলির ঘটনায় ঘটনাস্থলে ভবনের ভেতরে আতংক ছড়িয়ে পড়ে।
ক্লাস রুমের মেঝেতে রক্ত গড়িয়ে পড়ে আছে, বুলেটের আঘাতে ফুটো হয়ে গেছে একটি জানালা। এ সময় শিক্ষার্থীরা ভয়ে কুকড়ে ডেস্কের নিচে আশ্রয় নেয়।
রুশ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, নিহতদের মধ্যে দুজন শিক্ষক এবং দুইজন নিরাপত্তারক্ষীও আছেন। ঘটনার পর কর্মী ও শিশু শিক্ষার্থীদেরকে স্কুল ভবন থেকে নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
স্থানীয় এক এমপি বলেছেন, বন্দুকধারীর হাতে দুটি পিস্তল ছিল। বন্দুকধারীর মুখমণ্ডল ও ঘাড় কাপড়ে ঢেকে রাখা ছিল। শুধু চোখ খোলা ছিল। তার গায়ে যে টি-শার্ট ছিল, তাতে নাৎসি প্রতীকও মিলেছে বলে জানিয়েছে রুশ রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা তাস।
আতর্কিত হামলায় নিহতের ঘটনায় ওই অঞ্চলে ২৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত শোক ঘোষণা করা হয়েছে।
হামলার মুখোমুখি পড়া স্কুলটি ৬ লাখ ৫০ হাজার বাসিন্দার ইঝেভস্ক শহরের কেন্দ্রে অবস্থিত। এর কাছেই একাধিক সরকারি ভবন রয়েছে।