জামালপুরের বকশীগঞ্জে সাংবাদিক গোলাম রাব্বানী নাদিম হত্যার ঘটনায় প্রধান আসামী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলম ওরফে বাবুকে গ্রেপ্তার করে পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ থেকে সড়ক পথে ঢাকায় আনা হয়েছে। বর্তমানে তিনি রাজধানীর কারওয়ানবাজার র্যাব মিডিয়া সেন্টারে র্যাব হেফাজতে রয়েছেন।
শনিবার (১৭ জুন) বিকালে র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। গোলাম রাব্বানী নাদিম বাংলানিউজ টোয়েন্টিফোর.কমের জামালপুর ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট ছিলেন। একইসাথে একাত্তর টিভির উপজেলা সংবাদ সংগ্রাহক হিসেবে কাজ করতেন।
খন্দকার আল মঈন বলেন, গ্রেপ্তার আসামি ইউপি চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলম ওরফে বাবুকে ঢাকায় নিয়ে আসা হয়েছে। এ বিষয়ে আজ (শনিবার) রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র্যাবের মিডিয়া সেন্টার আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত জানানো হবে।
তিনি বলেন, শনিবার দুপুরে হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী মাহমুদুল আলমকে দেবীগঞ্জ থেকে আটক করে র্যাব। ঢাকায় আনার পরে তাকে জামালপুরে নিয়ে যাওয়া হবে। সেখান থেকে তাকে বকশীগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করা হবে।
গত বুধবার (১৪ জুন) রাতে বাড়ি ফেরার পথে বকশীগঞ্জের পাথাটিয়ায় পৌঁছালে অস্ত্রধারী ১০ থেকে ১২ জন দুর্বৃত্ত সাংবাদিক নাদিমকে পিটিয়ে জখম করে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান।
এরপর রাত ১২টায় সেখান থেকে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় বৃহস্পতিবার সকালে তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার বিকেল পৌনে ৩টার দিকে তিনি মারা যান।
এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১২ জনকে আটক করা হয়েছে।নিহত সাংবাদিক গোলাম রাব্বানী নাদিমের স্ত্রী মনিরা বেগম বাদী হয়ে বাবু চেয়ারম্যানকে প্রধান আসামি এবং ২২ জনের নামোল্লেখপূর্বল অজ্ঞাতনামা আরও ২৫ জনকে আসামি করে বকশীগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।