শিক্ষামন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেছেন, লার্নিং গ্যাপ কমাতে সাপ্তাহিক ছুটির দিন শুক্রবারও ক্লাস-পরীক্ষা চালু রাখা হতে পারে।
মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) দুপুরে মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা জানান।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের একেক অঞ্চলের তাপমাত্রা একেক রকম। এখন উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও হাওড় এলাকার তাপমাত্রা কম। তবে অতি বৃষ্টিতে কয়েকদিনের মধ্যেই সেখানে বন্যার কারণে পাঠদান বন্ধ রাখতে হবে।
তিনি বলেন, এ জন্য প্রয়োজনে প্রাকৃতিক বিপর্যয়সহ বিভিন্ন ছুটির কারণে লার্নিং গ্যাপ কমাতে প্রয়োজনে ছুটির দিন শুক্রবারও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা রাখা হবে।
বৃহস্পতিবার (২ মে) শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা না বন্ধ থাকবে এ বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, এ বিষয়ে আদেশের কপি পেয়ে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে আদেশ জানানো হবে। তবে আমরা আদালতের আদেশের প্রতি শ্রদ্ধাশীল, আর এ নিয়ে মন্তব্য করতে চাই না।
তিনি বলেন, নির্বাহী বিভাগ বিভিন্ন এলাকার পাঠদান বিষয়ে আবহাওয়া দফতর এবং স্বাস্থ্য অধিদফতরের সঙ্গে সমন্বয় করে নির্দেশনা দিয়ে আসছে। তবে স্বতঃপ্রণোদিত সিদ্ধান্ত এলে আমাদের কাজের ব্যঘাত ঘটে।
মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেন, ছুটি, কারিকুলাম, টেক্সটবুক এসব সব বিষয়ে অংশীজনদের সঙ্গে একটি সমন্বিত পরিকল্পনার আলোকে সিদ্ধান্ত হয়। রাজধানীকেন্দ্রিক প্রভাবশালী মানুষের আর সোশ্যাল মিডিয়ার সমালোচনা দেখে রাষ্ট্রপরিচালনা হয় না।
মন্ত্রী বলেন, রাজধানীর পরিস্থিতি অন্য জেলার সঙ্গে এক নয়। তাই ভিন্ন সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে। এ কারণেই সুনির্দিষ্ট কিছু জেলায় পাঠদান স্থগিত রাখা হয়েছে।
প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর কথা মাথায় রেখেই স্কুল বন্ধের বিষয়ে ভিন্ন ভিন্ন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানান শিক্ষামন্ত্রী।