সরকারি গণনা অনুযায়ী প্রথমবারের মতো দেশে নারী জনগোষ্ঠীর সংখ্যা বেড়েছে। ২০২২ সালের জনশুমারি অনুযায়ী, বাংলাদেশের জনসংখ্যা ১৬ কোটি ৫১ লাখ ৫৮ হাজার ৬১৬ জন। এর মধ্যে পুরুষের সংখ্যা ৮ কোটি ১৭ লাখ ১২ হাজার ৮২৪ জন, নারীর সংখ্যা ৮ কোটি ৩৩ লাখ ৪৭ হাজার ২০৬ জন এবং তৃতীয় লিঙ্গের জনগোষ্ঠী ১২ হাজার ৬২৯ জন।
বুধবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) প্রথম ডিজিটাল ‘জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২২’-এর প্রাথমিক প্রতিবেদন প্রকাশনা অনুষ্ঠানে এ ফলাফল জানানো হয়।
জনসংখ্যা বৃদ্ধির হারে দেশের পুরুষদের ছাড়িয়ে গেছেন নারীরা। অর্থাৎ বর্তমানে পুরুষের তুলনায় দেশে নারীর সংখ্যা বেশি। ৮ কোটি ১৭ লাখ পুরুষের বিপরীতে বাংলাদেশে এখন নারীর সংখ্যা ৮ কোটি ৩৩ লাখ।
জাতীয় পর্যায়ে ১০০ নারীর বিপরীতে পুরুষের সংখ্যা ৯৮। তবে জেলার হিসাবে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় এই সংখ্যা আরও কমে ৮৬ দশমিক ৯৯ শতাংশে ঠেকেছে। আর ১০০ নারীর বিপরীতে সবচেয়ে বেশি ১১৫ জন পুরুষ আছেন ঢাকা জেলায়।
এছাড়াও পুরুষ সংখ্যার দিক থেকে নিম্নস্থানে আছে, চাঁদপুরে ৮৭ দশমিক ৪১ এবং কুমিল্লায় ৮৭ দশমিক ৫৬ শতাংশ।
সংখ্যার হিসাবে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পুরুষের সংখ্যা ১৫ লাখ ৩৭ হাজার ৭৪৩, নারীর সংখ্যা ১৭ লাখ ৬৭ হাজার ৭৬৬। চাঁদপুরে পুরুষের সংখ্যা ১২ লাখ ২৮ হাজার ৭৭৪, সেখানে নারী ১৪ লাখ ৫ হাজার ৬৮২ জন। কুমিল্লায় পুরুষের সংখ্যা ২৮ লাখ ৯৮ হাজার ৫৮৩, নারী ৩৩ লাখ ১০ হাজার ৪১৬।
বিবিএস প্রতিবেদনে দেখা যায়, স্বাধীনতার পর ১৯৭৪ সালে অনুষ্ঠিত প্রথম শুমারিতে দেশের জনসংখ্যা ছিল ৭ কোটি ১৫ লাখ। এরপর ১৯৮১ সালে জনশুমারি অনুষ্ঠিত হয়। ওই সময় মোট জনসংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ৮ কোটি ৭১ লাখ ১৯ হাজার ৯৬৫ জনে। ১৯৯১ সালে দেশে মোট জনসংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ১০ কোটি ৬৩ লাখে।
২০০১ সালে চতুর্থ আদমশুমারি ও গৃহগণনা করা হয়, এসময় জনসংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ১২ কোটি ২৪ লাখ। ২০১১ সালে অনুষ্ঠিত পঞ্চম জনশুমারিতে দেখা যায়, দেশের জনসংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১৪ কোটি ৪০ লাখ। ষষ্ঠ ডিজিটাল জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২২ এ বাংলাদেশের জনসংখ্যা এখন ১৬ কোটি ৫১ লাখ ৫৮ হাজার ৬১৬ জন