তথ্যমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘সরকারি দল হিসেবে আমাদের দায়িত্ব হচ্ছে দেশে যাতে কেউ বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে না পারে তা নিশ্চিত করা। আওয়ামী লীগ রাজপথের দল, রাজপথে আছে এবং রাজপথেই থাকবে।’
কারও সঙ্গে পালটা কর্মসূচি আমরা দিচ্ছি না উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমরা আমাদের স্বাভাবিক কর্মসূচি দিচ্ছি। এই কর্মসূচি আগামী নির্বাচন পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে।’
শুক্রবার (১০ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় চট্টগ্রামের ফৌজদারহাট-পোর্ট লিংক রোডে জেলা প্রশাসন আয়োজিত ‘চট্টগ্রাম ফুল উৎসব’ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
বিএনপিকে উদ্দেশ করে সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ‘আওয়ামী লীগকে রাজপথে দেখলে মনে হয় ওদের গায়ে কাঁটা বিদ্ধ হয়। বিএনপি’র কর্মসূচির দিকে আমরা সতর্ক দৃষ্টি রাখছি এবং শান্তি সমাবেশ করছি। পালটা কর্মসূচি না, আমাদের স্বাভাবিক কর্মসূচি আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে। সরকারে থাকি কিংবা না থাকি, যখন ছিলাম না তখনও রাজপথে ছিলাম, এখন সরকারে আছি, ভবিষ্যতে থাকলে তখনও রাজপথে থাকব।’
ফুল উৎসবে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় ড. হাছান বলেন, আমাদের দেশকে প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা সুন্দরভাবে সাজাতে চান। আমরা দেশকে স্বপ্নের ঠিকানায় নিয়ে যেতে চাই। স্বপ্নের ঠিকানা হচ্ছে ২০৪১ সাল নাগাদ বাংলাদেশকে একটি উন্নত ও সমৃদ্ধ রাষ্ট্রে রূপান্তর করা। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে আমরা ক্ষুধামুক্ত বাংলাদেশ গড়তে সক্ষম হয়েছি, দারিদ্র্যমুক্ত দেশ গড়ার ক্ষেত্রেও বহুদূর এগিয়ে গেছি। বস্তুগত উন্নয়নের পাশাপাশি একটি মানবিক সামাজিক কল্যাণ রাষ্ট্র আমরা গড়ে তুলতে চাই।
পুস্পমেলার আয়োজনের জন্য জেলা প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সমুদ্রের পাড়ে পশ্চিম সলিমপুরে এরকম নয়নাভিরাম একটা জায়গায় বিস্তৃত জলাশয় আছে, চারপাশে গাছপালা। এখানে স্বাভাবিকভাবে অনেক পর্যটক আসেন, পর্যটকদের জন্য এটি একটা বাড়তি পাওনা হয়েছে। চট্টগ্রাম শহরের জন্যও একটা বাড়তি পাওনা। আমি আশা করব এই জায়গাটাতে প্রতিবছর তিনমাস ব্যাপী পুষ্প মেলা হবে, শুধু চট্টগ্রাম নয় সারাদেশের মানুষের আকর্ষণ হবে। প্রয়োজনে এখানকার জলাধারে ভাসমান ফুলের বেড করা যায়।’
জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার ড. আমিনুর রহমান, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এটিএম পেয়ারুল ইসলাম চৌধুরী, চট্টগ্রাম চেম্বারের সভাপতি মাহাবুবুল আলম, মহানগর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোজাফ্ফর আহমদ ও সীতাকুন্ডের উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. শাহাদাত হোসেন।