সাবেক সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগ নেতা শামীম ওসমান এবং তার স্ত্রী সালমা ওসমানের বিরুদ্ধে দুটি পৃথক মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। তাদের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন এবং শত কোটি টাকার সন্দেহজনক লেনদেনের অভিযোগ আনা হয়েছে।
দুদকের সহকারী পরিচালক পিয়াম পাল এবং মনিরুল ইসলাম এই মামলাগুলো দায়ের করেন। মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) বিষয়টি নিশ্চিত করেন দুদকের মহাপরিচালক মো. আখতার হোসেন।
দুদক সূত্র জানিয়েছে, শামীম ওসমান সংসদ সদস্য থাকার সময় ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন। তার বিরুদ্ধে কোনো বৈধ উৎস ছাড়া ৬ কোটি ৬৭ লাখ ৫৩ হাজার ৬৮৯ টাকার সম্পদ অর্জনের অভিযোগ উঠেছে।
এছাড়া তার নামে থাকা ৯টি ব্যাংক হিসাবে মোট ৪৩৯ কোটি ৮২ লাখ ৩৮ হাজার ৫৮০ টাকার লেনদেন শনাক্ত করেছে দুদক। এসব লেনদেনকে কমিশন সন্দেহজনক হিসেবে বিবেচনা করেছে।
শুধু শামীম ওসমানই নন, তার স্ত্রী সালমা ওসমানের বিরুদ্ধেও অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। দুদক জানায়, তিনি বৈধ উৎস ছাড়াই ৩ কোটি ৯ লাখ ৭৫৭ টাকার সম্পদের মালিক হয়েছেন।
তার বিভিন্ন ব্যাংক হিসাবে আরও ২৪ কোটি ৬৬ লাখ ৮৯ হাজার ১৩১ টাকার লেনদেন সন্দেহজনক হিসেবে শনাক্ত করা হয়েছে।
এই প্রেক্ষিতে তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪-এর ২৭(১) ধারা, মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২-এর ৪(২) ও ৪(৩) ধারা এবং দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭-এর ৫(২) ধারায় মামলা করা হয়েছে।
এছাড়া তাদের সন্তান ইমতিনান ওসমান এবং লাবীবা জোহার বিরুদ্ধেও অবৈধ সম্পদের অভিযোগে তদন্ত চলছে। দুদক ইতোমধ্যে তাদের কাছে সম্পদের হিসাব চেয়ে নোটিশ পাঠিয়েছে।
তাদের বিরুদ্ধে সম্পদের বিবরণী চাওয়া হয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪-এর ২৬(১) ধারা অনুযায়ী।
এর আগে, দুদকের নির্দেশে শামীম ওসমানের দুটি প্লট ক্রোক করা হয়। পাশাপাশি তার ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে থাকা ২৯টি ব্যাংক হিসাবও জব্দ করা হয়েছে।