শিক্ষামন্ত্রী ডা.দীপু মনি বলেছেন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ধ্যান চর্চার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। তাই প্রায় পাঁচ কোটি শিক্ষার্থীর ধ্যান চর্চায় অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে সমাজে সকল স্তরে সৎ, সাহসী, আশাবাদী, সহমর্মী ও ইতিবাচক মানুষ হয়ে ওঠার চর্চা ছড়িয়ে দেয়ার আহ্বান জানান তিনি।
মন্ত্রী বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নিয়মিত ধ্যান বা মেডিটেশন চর্চার মধ্য দিয়ে শিক্ষার্থীদের দৈহিক, মানসিক ও আত্মিকভাবে সুস্থ ও সবল করে তুলে তাদেরকে দক্ষ যোগ্য মানবিক ও সৃজনশীল মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে উদ্যোগ নিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
সোমবার রাজধানীর আইডিইবি ভবনে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পোস্ট-কোভিড টোটাল ফিটনেস চালুকরণ শীর্ষক প্রোগ্রামের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ডা.দীপু মনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু তার স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়বার জন্য যে সোনার মানুষের কথা বলেছিলেন, তার কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে তা’ বাস্তবায়নে আমাদের নতুন শিক্ষাক্রমের পাশাপাশি এ ধ্যান চর্চা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
তিনি বলেন, আমরা চাই আমাদের শিক্ষার্থীরা মানবিক মূল্যবোধগুলোর চর্চা করে আলোকিত মানুষ হোক। ধর্মচর্চা ও আত্মিক উন্নয়নে, শারীরিক ওমানসিক স্বাস্থ্যের জন্য, সকল হতাশা ও নেতিবাচকতা দূর করবার জন্য, সকল আসক্তি থেকে মুক্ত থাকবার জন্য, ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি গড়বার জন্য, লক্ষ্য স্থির করে জীবনকে এগিয়ে নেয়ার জন্য, শুদ্ধাচার চর্চার জন্য, অর্থাৎ যা কিছু আমাদের সঠিক পথে এগিয়ে দেবে, জীবনের লক্ষ্য অর্জনে সহায়তা করবে এবং একটা উন্নত, সুখী সমৃদ্ধ জীবন দিতে পারবে তার সব কিছু অর্জনের পথে ধ্যান একটি বড় ভূমিকা পালন করতে পারে।’
দীপু মনি বলেন, আমরা বলছি শিক্ষার্থীদের আমরা বিজ্ঞান মনস্ক, প্রযুক্তিবান্ধব, প্রযুক্তি ব্যবহারে ও উদ্ভাবনে দক্ষ, মানবিক ও সৃজনশীল মানুষ হিসেবে গড়ে তুলবো। আমাদের এ প্রয়াসের সাফল্যে সহায়ক হিসেবে ধ্যান চর্চা কাজ করবে।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে টোটাল ফিটনেস কর্মসূচির মধ্য দিয়ে আমি আশা করবো সবার মধ্যে ধ্যানের চর্চাটা ছড়িয়ে দিতে। কোয়ন্টাম দীর্ঘদিন ধরে এ কাজটি করছে। আরও কিছু প্রতিষ্ঠানও রয়েছে যারা ধ্যানের চর্চা করে। কোয়ন্টাম ব্যাপকভাবে করছে। ব্যক্তিগতভাবে আমার সুযোগ হয়েছে কোয়ান্টামে কোর্স করার। আমি নিজে তার উপকারভোগী। আমি মনে করি সব মানুষের মধ্যে ধ্যান চর্চা ছড়িয়ে দেয়ার দরকার রয়েছে। সমাজে যে অসততা, অন্যায়, অস্থিরতা, নেতিবাচকতা রয়েছে তা দূর করতে ধ্যান চর্চা দরকার।
প্রথিতযশা মনোচিকিৎসক ও সাহিত্যিক অধ্যাপক ডা. আনোয়ারা সৈয়দ হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মশিউর রহমান, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদ, জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর মো: ফরহাদুল ইসলাম, কারিগরি শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক ড. মো. ওমর ফারুক প্রমুখ।