আবদুল্লাহ আল আমিন, দেবিদ্বার প্রতিনিধি: দেবিদ্বারে এক ভণ্ড পীরের আস্তানায় সাত বছরের ২য় শ্রেণির এক শিশু শিক্ষার্থী ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। নির্যাতিত ওই শিশুটির পরিবারের অভিযোগ ঘটনার এক সপ্তাহ পার হলেও পুলিশ এখনও মামলায় অভিযুক্ত ভণ্ডপীর ইকবালকে গ্রেফতার করতে পারেনি।
মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত ২ জুন দুপুর ১২টার দিকে দেবিদ্বার উপজেলার ফতেহাবাদ ইউনিয়নের সাইচাপাড়া গ্রামের মৃত শরাফত আলীর পুত্র ইকবাল শাহ স্থানীয় একটি কিন্ডার গার্টেনের ২য় শ্রেণির ছাত্রীকে লিচু দেয়ার কথা বলে তার আস্তানায় নিয়ে ধর্ষণ করে। পরে ওই শিশুটি বাড়িতে গিয়ে ব্যথায় ছটফট করলে তার পরিবার চিকিৎসকের নিকট নিয়ে যায়।
শিশুটির মা ও মামলার বাদী সীমা আক্তার বলেন, এলাকার একটি চক্র এ বিষয়ে তাকে মামলা না করতে চাপ দিয়ে যাচ্ছিল, তারা চেয়েছিল এ ঘটনার মিমাংসা করতে। পরে তিনি ৬ জুন রাতে দেবিদ্বার থানায় মামলা দায়ের করেন।
স্থানীয়রা জানান, ইকবাল শাহ হঠাৎ পীর দাবি করে দীর্ঘ বিশ বছর যাবৎ নিজ বাড়িতে ‘সাইচাপাড়া দরবার শরীফ’ নাম দিয়ে আস্তানা তৈরী করে মানুষের সাথে প্রতারণা করে আসছিল। বাড়িতে প্রায়ই গাঁজার মজমা বসাতো। মাঝে মধ্যে করতো ওরস। সেখানে নারীদের সাথে নিয়ে অসামাজিক কাজে লিপ্ত হতো। তার এসব কাজে সহায়তা করতো স্থানীয় একটি প্রভাবশালী চক্র। তাই তার অসামাজিক কর্মকাণ্ডে কেউ প্রতিবাদ করতো না।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত পীর ইকবালের মুঠো ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তার ব্যবহৃত ফোন নাম্বারটি বন্ধ থাকায় বক্তব্য জানা যায়নি।
শনিবার বিকালে দেবিদ্বার থানার ওসি (তদন্ত) খাদেমুল বাহার বলেন, ডাক্তারী পরীক্ষায় ওই শিশুটিকে ধর্ষণের আলামত মিলেছে। ঘটনার পর ওই পীর আস্তানা ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ায় তাকে গ্রেফতার করা যাচ্ছে না। পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে।