সন্দ্বীপ উপজেলা পরিষদ উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা ও চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি রফিকুল ইসলামের নির্বাচনী প্রচারণার সময় ককটেল বিস্ফোরণ ও গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে।
গতকাল বুধবার (১৭ মে) সন্ধ্যা ৭টার দিকে কালাপানিয়া ইউনিয়নের মাস্টার কামাল উদ্দিন স্মৃতি সংসদের পাশে এ গোলাগুলির ঘটনা ঘটে।
পুলিশ জানায়, এ সময় আনারস মার্কার প্রার্থী রফিকুল ইসলাম সেখানে প্রচারণা চালাচ্ছিলেন। একদল সন্ত্রাসী নৌকা মার্কার স্লোগান দিয়ে তার সমাবেশ মঞ্চের পাশে এসে ৪/৫ রাউন্ড গুলি ও কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়।
বিদ্রোহী প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা ও চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি রফিকুল ইসলাম বলেন, গোলাগুলি ও ককটেল বিস্ফোরণের এই ঘটনাটি তিনি নির্বাচন কমিশন ও স্থানীয় থানা পুলিশকে জানাবেন। প্রয়োজনে মামলা করবেন।
তিনি অবিলম্বে এসব সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার করে নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখার জন্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি অনুরোধ জানান। অন্যথায় নির্বাচনের সময় সন্দ্বীপে অনাকাঙ্ক্ষিত কোনো ঘটনার জন্য নির্বাচন কমিশন ও থানা পুলিশ দায়ী থাকবে।
তিনি বলেন, কালাপানিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলিমুর রেজা টিটুর নেতৃত্বে ৩০-৩৫ জন সন্ত্রাসী এই গোলাগুলির ঘটনা ঘটিয়েছে।
উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার এই সমাবেশ স্থলে নির্বাচনি সমাবেশ করেছিলেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী মাইনুদ্দিন মিশন। ওই সমাবেশ থেকে সন্দীপ থানা ছাত্রলীগের সভাপতি মাহফুজুর রহমান সুমন আগামী উপজেলা পরিষদ উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগ ছাড়া অন্যসব দলের ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে না যাওয়ার হুমকি দিয়েছিলেন।
বিশেষ করে বিএনপি’র ভোটারদের ভোট কেন্দ্রে যাওয়া প্রতিহত করার ঘোষণা দিয়েছিলেন তিনি। এর একদিন পর গোলাগুলি ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনাটি রহস্যজনক বলে মনে করছেন সন্দ্বীপের মানুষজন।