পবিত্র মাহে রমজান সামনেই। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির বাজারে ভোক্তাদের বিড়ম্বনার মধ্যেই বাড়ল চিনির দাম। চিনির দাম প্রতি কেজি ২০ টাকা বাড়িয়েছে বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশন (বিএসএফআইসি)।
নতুন দামে সরকারি মিলের চিনির সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য ১৬০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। দেশের বাজারে চিনির দামে এটি রেকর্ড।
বৃহস্পতিবার (২২ফেব্রুয়ারি) চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশন (বিএসএফআইসি) চিনির নতুন মূল্য ঘোষণা করে। এতে কেজি প্রতি চিনির সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য নির্ধারণ করা হয় ১৬০ টাকা। যা দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ।
এ সংক্রান্ত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিএসএফআইসি জানায়, আন্তর্জাতিক ও দেশীয় চিনির বাজার মূল্যের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বিএসএফআইসি কর্তৃক উৎপাদিত চিনির বিক্রয়মূল্য পুনর্নির্ধারণ করা হয়েছে।
এতে বলা হয়, এখন থেকে করপোরেশনের ৫০ কেজি বস্তাজাত চিনির মিলগেট বিক্রয়মূল্য ১৫০ টাকা (এক কেজি) ও ডিলার পর্যায়ে বিক্রয়মূল্য ১৫৭ টাকা (এক কেজি) নির্ধারণ করা হয়েছে।
এছাড়া করপোরেশনের ১ কেজি প্যাকেটজাত চিনির মিলগেট বা করপোরেট সুপারশপ বিক্রয়মূল্য ১৫৫ টাকা ও বিভিন্ন সুপারশপ, চিনি শিল্প ভবনের বেজমেন্টে ও বাজারে সর্বোচ্চ খুচরা বিক্রয়মূল্য ১৬০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
এদিকে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি হলে লাগামহীন পেঁয়াজের দাম কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসবে মনে করা হলেও শেষ পর্যন্ত ভারত থেকে আসছে না পেঁয়াজ। দেশটি পেঁয়াজ রপ্তানি না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
চলতি বছরের ৩১ মার্চ পর্যন্ত পেঁয়াজ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল ভারত। এতে দেশটির প্রধান পেঁয়াজ উৎপাদনকারী অঞ্চল মহারাষ্ট্রের নাশিকের পাইকারি বাজারে পেঁয়াজের দাম কেজিতে ৪০ থেকে কমে ১৩ রুপিতে নেমে আসে। দামের এই পতনে পেঁয়াজ চাষিরা দুই মাস ধরে বিক্ষোভ করে রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের দাবি জানায়। এতে রপ্তানি বন্ধের প্রায় আড়াই মাসের মাথায় গত রবিবার দেশটির কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সভাপতিত্বে এক বৈঠকে আবারও পেঁয়াজ রপ্তানির সিদ্ধান্ত জানানো হয়।
তবে মঙ্গলবার ভারত সরকারের পক্ষ থেকে আবার জানানো হয়, পেঁয়াজ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ কমিয়ে আনার প্রশ্ন নেই, বরং নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ আরও বাড়ানো হতে পারে।