গণতন্ত্রের পথচলা যদি নিরবচ্ছিন্ন করতে হয়, গণতন্ত্রকে সংহত করতে হয়, তাহলে সংসদের পথচলাকেও নিরবচ্ছিন্ন করতে হবে। এজন্য আজকের দিনে মুক্তিযুদ্ধের সব শক্তির ঐক্যবব্ধ হওয়া দরকার বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।
শনিবার (৮ এপ্রিল) জাতীয় সংসদের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে বিশেষ অধিবেশনে জাতীয় সংসদ নেতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উত্থাপিত আলোচনার ধন্যবাদ প্রস্তাবে অংশ নিয়ে চট্টগ্রাম-৭ আসনের সংসদ সদস্য হাছান মাহমুদ এ সব কথা বলেন। এ সময় ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকু অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, এটি সরকারি দলের দায়িত্ব না যে সবাইকে দাওয়াত করে নির্বাচনে আনা। সরকারি দল একটি পক্ষ, বিরোধী দল আরেকটি পক্ষ, যেখানে নির্বাচনে কেউ আসবে কী আসবে না সেই দায়িত্ব পালন করতে পারে নির্বাচন কমিশন, সরকারি দলের দায়িত্ব না।
তিনি বলেন, যখন নির্বাচনের সিডিউল ঘোষণা করা হয় তখন সরকারের হাতে কোনো দায়িত্ব থাকে না।
জিয়াউর রহমান ১৯৭৯ সালে সংসদ করে প্রকৃতপক্ষে গণতন্ত্র নয়, মার্শাল ডেমোক্রেসি চালু করেছিলেন মন্তব্য করে তিনি বলেন, যে ব্যক্তি স্বাধীনতার বিরোধিতা করেছিল, তাকে তিনি সংসদের নেতা বানিয়েছিলেন, প্রধানমন্ত্রী বানিয়েছিলেন। সেই শাহ আজিজুর রহমান ১৯৭১ সালে পাকিস্তান প্রতিনিধি দলের ডেপুটি লিডার হয়ে জাতিসংঘে বক্তব্য দিয়ে বলেছিলেন- ‘পূর্বপাকিস্তানে কোনো গণহত্যা হচ্ছে না, ভারতীয় চরেরা-দোসরেরা গন্ডগোল করছে মাত্র।
আওয়ামী লীগের এই যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, এরপরেও বিএনপি ২০১৪ সালে নির্বাচন বানচাল করার জন্য ৫০০ ভোটকেন্দ্র পুড়িয়ে দিয়েছিল, দু’জন নির্বাচনী কর্মকর্তাসহ হাজার মানুষকে হত্যা করেছে। কিন্তু সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল, সংসদের পথচলা অব্যাহত রয়েছে, গণতন্ত্রের পথচলা অব্যাহত হয়েছে।
তিনি বলেন, বিএনপি দলীয় সংসদ সদস্যরা যে এই সংসদকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে পদত্যাগ করলেন, সেটি সংসদের পথচলাকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য, সংসদীয় গণতন্ত্রকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য, দেশের গণতন্ত্রের পথচলাকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য।
বিএনপির উদ্দেশ্যে তথ্যমন্ত্রী বলেন, এ বছরের শেষ সপ্তাহে বা আগামী বছরের প্রথম সপ্তাহে যে নির্বাচন হবে, সেই নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য আজ নানা ষড়যন্ত্র হচ্ছে, সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করার হুমকি দেওয়া হচ্ছে। দেশে গণতন্ত্রের পথচলা, সংসদের পথচলা নিরবচ্ছিন্ন রাখার জন্য, সংসদীয় গণতন্ত্র সংহত রাখার জন্য কেউ নির্বাচনে আসুক আর না আসুক, নির্বাচন যথাসময়ে অনুষ্ঠিত হতে হবে, নির্বাচন যথাসময়ে হবে।