বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, জামায়াতের সমাবেশের অনুমতি দেওয়া নিয়ে নানা কথা-বার্তা আলোচনা হচ্ছে। আসলে যুক্তরাষ্ট্রের ভিসানীতির কারণে সরকার জামায়াতকে সমাবেশ করার অনুমতি দিতে বাধ্য হয়েছে।
তিনি বলেন, জামায়াত রাজনীতি করবে- এটাই তো স্বাভাবিক। কিন্তু এতোদিন জামায়াত কেন রাজনীতি করতে পারেনি, সেটাই তো প্রশ্ন হওয়া উচিত। এখন কেন সরকার অনুমতি দিল? এই অনুমতি দিয়ে সরকার বুঝাইতে চাইল- সরকারের সঙ্গে তাদের আঁতাত হয়েছে- কেউ কেউ এ কথা বলছেন। আসলে সরকার জামায়াতকে অনুমতি দিতে বাধ্য হয়েছে। এক ভিসানীতির কারণে সরকারের সবাই প্রেসার মাপতেছে; সুগার পরীক্ষা করছে। সবকিছুর তো শেষ আছে।
আজ সোমবার (১২ জুন) দুপুরে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৪২তম শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষ্যে সভার আয়োজন করে স্বাধীনতা ঐক্য পরিষদ। পরে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে গুম হওয়া পরিবারকে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়।
সরকারের উদ্দেশ্য করে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, সরকার এখন আমেরিকার ভিসা নীতির আতঙ্কে আছে। এই সরকারকে যেতে হবে। এই সরকারের নিরাপদে প্রস্থান করতে চাইলে একটি মাত্র পথ খোলা আছে। তা হচ্ছে জনগণের মালিকানা জনগণের হাতে ফেরত দিতে হবে, তাদের ভোটাধিকার তাদের কাছে ফেরত দিতে হবে; জনগণের ১০ দফা মেনে নিতে হবে।
সংলাপের প্রসঙ্গ টেনে বিএনপির এই নেতা বলেন, সরকারের মন্ত্রী-এমপি এবং তাদের নেতারা সংলাপ সংলাপ করছে। সংলাপ হতে পারে। কিন্তু তার আগে ১০ দফা মেনে নিতে হবে। এর পর নির্বাচনকালীন নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা নিয়ে সংলাপ হতে পারে।
তিনি বলেন, আমি বলব শেখ হাসিনা যদি বুদ্ধিমতী হন তাহলে আপনি দশ দফা মেনে নেবেন। আগামীতে একটা অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করতে নির্বাচন কালীন সরকারের ব্যবস্থা করবেন। এর মাধ্যমেই আপনারা অন্তত একটু হলেও বাংলাদেশে চলাচল করতে পারবেন। এর বাইরে অন্য কোনো পথ খোলা নেই।
বিএনপির এই নেতা আরো বলেন, মানুষের অধিকার ও গণতন্ত্রের কথা বলার জন্য যারা গুম হয়েছেন এবং আইনের শাসন ফিরে পাওয়ার জন্য যারা গুম হয়েছেন তাদের বিচার এ দেশে হবে।