বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, ধাপে ধাপে আন্দোলন হবে।সরকার পতন কীভাবে করতে হয় সে অভিজ্ঞতা আমাদের আছে। সেই অভিজ্ঞতা এখন আমাদের কাজে লাগবে।
বুধবার (৭ সেপ্টেম্বর) বিকেলে রাজধানীর নয়াপল্টনে যুবদলের শোক র্যালির পূর্বে তিনি এসব কথা বলেন। পুলিশের গুলিতে নিহত যুবদল কর্মী শাওন প্রধান স্মরণে শোক র্যালির আয়োজন করে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ যুবদল।
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, কয়েকজন ঘুষখোর দুর্নীতিবাজ লোক নিয়ে প্রশাসন বেশি দিন চলতে পারবে না। তাদের বিদায় দিতে হবে। বিদায়টা যদি ভালোভাবে নেয় এক কথা, আর যদি খারাপভাবে নেয়, তার পরিণতির জন্য তাকেই দায় নিতে হবে। কোনো রাজনৈতিক দল তার দায় নেবে না।
তিনি বলেন, ফ্যাসিবাদী সরকারের যখন শেষ সময় আসে তখন তারা হুমকি দেয় একটু নড়েচড়ে বসে। এখান থেকে বোঝা যায় এই নড়াই সরকারের শেষ নড়া। তারপর ক্ষমতা থেকে পড়ে যাওয়ার পালা।
প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে, বিশ্বের সকল গণতান্ত্রিক দেশের সঙ্গে আমাদের বন্ধুত্ব থাকবে আজীবন জানিয়ে তিনি বলেন, কিন্তু গোলামি নয়। যদি গোলামির বিষয় হয় তাহলে, আমরা ২৫ দিনও মানি না ২৫ বছর তো অনেক বেশি। আর যদি বন্ধুত্বের বিষয় হয় তাহলে আমরা মনে করি প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে আমাদের বন্ধুত্ব আজীবন থাকতে পারে। থাকাটা উচিত, থাকাটা ভালো।
ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়ে গয়েশ্বর বলেন, আমরা বন্ধুত্ব চাই, কর্তৃত্ব নয়। এটাই আমাদের অপরাধ। এটাই জিয়াউর রহমানের অপরাধ ছিল, এটাই খালেদা জিয়ার অপরাধ ছিল। খালেদা জিয়া বলেছেন, বিদেশে আমাদের বন্ধু আছে প্রভু নেই। প্রভুত্ব স্বীকার করলে কোনো দিন বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের মর্যাদা থাকে না।
তিনি আরও জানান, ভারত বিশ্বের সবচেয়ে বড় গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র। তারা এখানে (বাংলাদেশ) দৃশ্যমান গণতন্ত্রের বিপক্ষে গিয়ে ফ্যাসিবাদের পক্ষে দাঁড়ায়। সেখানে ভারতকে সাবধান হওয়ার ব্যাপার রয়েছে। অতীতের নীতি পরিবর্তনে করার দরকার আছে, সংশোধন করার দরকার আছে।
ঢাকা উত্তর যুবদলের আহ্বায়ক শফিকুল ইসলাম মিল্টনের সভাপতিত্বে ও ঢাকা দক্ষিণের আহ্বায়ক গোলাম মাওলা শাহীনের সঞ্চালনায় এ সময় উপস্থিত ছিলেন, যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, যুবদলের সাবেক সভাপতি সাইফুল আলম নীরব, ঢাকা দক্ষিণ বিএনপির সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনু প্রমুখ।