ইসলামী আন্দোলনের মহাসচিব মাওলানা ইউনুছ আহমাদ বলেছেন, বিরোধী দলের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে হামলা চালিয়ে সরকার সংঘাতময় পরিস্থিতি সৃষ্টি করছে। বিরোধী দলের কর্মসূচির দিন সরকারি দল তথাকথিত ‘শান্তি’ সমাবেশের নামে অশান্তি সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে। সুতরাং যেকোনো সংঘাতময় পরিস্থিতির জন্য সরকারকেই দায়ী থাকতে হবে।
বুধবার (১৯ জুলাই) বিকেলে পুরানা পল্টনে ইসলামী আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি পর্যালোচনা সভায় ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলায় বিএনপিসহ বিরোধী দলের শান্তিপূর্ণ পদযাত্রায় হামলার প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়ে মাওলানা ইউনুছ আহমাদ এসব কথা বলেন।
ইউনুছ আহমাদ বলেন, বিরোধী দলগুলো সরকার পতনের এক দফা দাবিতে ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলায় শান্তিপূর্ণ পদযাত্রা করেছে। সেখানে বিরোধী নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা চালানোর ঘটনা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। বিবৃতিতে তিনি হামলার জন্য ‘আওয়ামী সন্ত্রাসীদের’ দায়ী করে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান।
গত শনিবার ঢাকায় এফবিসিসিআইয়ের এক সম্মেলনে ব্যবসায়ীদের একটি অংশ শেখ হাসিনাকে আবারও ক্ষমতায় দেখতে চায় বলে যে আশাবাদ ব্যক্ত করেছে, তার সমালোচনা করেন ইসলামী আন্দোলনের মহাসচিব।
তিনি বলেন, এখন রাজনীতি নিয়ন্ত্রণ করছেন বুর্জোয়া ব্যবসায়ীরা। বর্তমান সংসদে আওয়ামী লীগের মহাজোটের ১৭৪ জন সংসদ সদস্য ব্যবসায়ী। তাঁরা সিন্ডিকেট করে জিনিসপত্রের দাম বাড়াচ্ছেন। তাঁরা যেকোনোভাবে শেখ হাসিনাকে পুনরায় ক্ষমতায় দেখতে মরিয়া।
এর আগে এক বিবৃতিতে ঢাকা-১৭ আসনে ভোট ‘ডাকাতি’ হয়েছে বলে অভিযোগ করেন ইউনুছ আহমাদ বলেন, যে নির্বাচনের কোনো তাৎপর্য নেই, যে নির্বাচনে কোনো বিরোধী দল নেই—সেই নির্বাচনেও তারা জয়লাভ করতে পারে না। তাদের ভোট কাটতে হয়, একজন প্রার্থীকে মারধর ও নাজেহাল করতে হয়। আওয়ামী লীগের দেউলিয়াপনা এই জায়গায় এসে ঠেকেছে।
ইসলামী আন্দোলনের মহাসচিব বলেন, স্বতন্ত্র প্রার্থী হিরো আলমের সঙ্গে যা করা হয়েছে, তাতে বাংলাদেশের বর্তমান প্রকৃত অবস্থা প্রকাশ পেয়েছে। পুলিশ কমিশনার বলেছিলেন ভোট সুষ্ঠু না হলে তিনি নাকে খত দিয়ে চলে যাবেন। এই নাকে খত আমরা কবে দেখব। মানুষ ফেসবুকে লিখছে পুলিশ কমিশনারের নাকে খত আমরা দেখতে চাই।