প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফর দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতার নতুন দ্বার উন্মোচিত হবে বলে বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় (এমওএফএ) জানিয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, এই সফর বাংলাদেশ ও ভারত উভয়ের জন্যই গুরুত্বপূর্ণ।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমন্ত্রণে আগামী ৫-৮ সেপ্টেম্বর রাষ্ট্রীয় সফরে ভারত যাবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর আগে ২০১৯ সালে ভারত সফর করেছেন প্রধানমন্ত্রী।
সফরে প্রধানমন্ত্রী একটি উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেবেন, যেখানে বেশ কয়েকজন মন্ত্রী, উপদেষ্টা, সচিব এবং ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা রয়েছেন।
বাংলাদেশের ব্যবসায়ী সংগঠনের প্রতিনিধিরাও হাসিনার সঙ্গী হবেন।
ভারত সফরে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে আনুষ্ঠানিকভাবে দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি অভ্যর্থনা জানাবেন এবং তাকে গার্ড অব অনার প্রদান করা হবে। সফরে রাজঘাটে মহাত্মা গান্ধীর প্রতি শ্রদ্ধা জানাবেন শেখ হাসিনা।
শেখ হাসিনা ভারতের উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
হায়দরাবাদ হাউসে তিনি মোদির সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় আলোচনায় মিলিত হবেন। পরে সেখানে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর দেয়া মধ্যাহ্নভোজে শেখ হাসিনা যোগ দেবেন।
নয়াদিল্লিতে হাসিনার সঙ্গে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং আরও কয়েকজন বিশিষ্ট ব্যক্তি সাক্ষাৎ করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, রাষ্ট্রীয় সফরের সময় বেশ কয়েকটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
সফরে তিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় শহীদ ও গুরুতর আহত ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনীর ২০০ জন সদস্যের বংশধরদের বাংলাদেশ সরকারের একটি উদ্যোগ মুজিব বৃত্তি প্রদান করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
আগামী ৮ সেপ্টেম্বর ঢাকায় ফেরার কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর।