বাংলাদেশের অলরাউন্ডার ক্রিকেটার, জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক ও সাবেক সংসদ সদস্য সাকিব আল হাসানের সকল ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দ করেছে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)।
গতকাল বুধবার (৬ নভেম্বর) গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র হুসনে আরা শিখা।
তিনি বলেন, ‘সাকিব আল হাসানের সব ব্যাংক হিসাব জব্দ করা হয়েছে।’
এর আগে, গত ২ অক্টোবর পুঁজিবাজারে কারসাজি ও আর্থিক অনিয়ম খতিয়ে দেখতে সাকিব আল হাসান, তার স্ত্রী উম্মে আহমেদ শিশির ও তার ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাবের যাবতীয় তথ্য তলব করে বিএফআইইউ। এরপর তদন্ত শেষে সরকারের নির্দেশে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এতে করে সাকিবের অচিরেই দেশে ফেরার সম্ভাবনা আরও ক্ষীণ হলো। এই মুহূর্তে তিনি পরিবারের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজ পর্যন্ত তার না খেলার কথা থাকলেও শেষ পর্যন্ত আর মাঠে নামা হয় কি না তা নিয়েও উঠেছে প্রশ্ন। ইতোমধ্যে টেস্ট ও টি টোয়েন্টি থেকে অবসর নিয়েছেন বিশ্বসেরা এই অলরাউন্ডার।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিজ জেলা মাগুরার একটি নির্বাচনি আসন থেকে আওয়ামী লীগের হয়ে ভোটে লড়েন সাকিব। সেই নির্বাচনে জয়লাভ করে সংসদ সদস্যও হন তিনি।
৫ আগস্টের ক্ষমতার পটপরিবর্তনে রাষ্ট্রপতি সংসদ ভেঙে দেন। এতে সংসদ সদস্য পদ হারান সাকিব। এরপর থেকেই দেশের বাইরে আছেন দেশীয় ক্রিকেটের পোস্টারবয় খ্যাত সাকিব।
এর মধ্যেই জুলাই ম্যাস কিলিংয়ের ঘটনায় হত্যা মামলার আসামি হয়েছেন সাকিব। দেশের মাটিতে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্ট খেলে অবসরে যেতে চেয়েছিলেন। তবে তার সে ইচ্ছে আর পূরণ হয়নি। দেশে ফিরতে গিয়েও মাঝপথে বাঁধার মুখে পড়ে যুক্তরাষ্ট্রের ফিরে যান সাকিব।