বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা বলেছেন, ব্যাপক অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব চুক্তি (সিইপিএ) একটি নতুন প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো এবং সরবরাহ চেইন সংযোগ তৈরি করে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্পর্ক বাড়ানোর সম্ভাবনা রয়েছে।
বাংলাদেশ ও ভারত উভয়েই সিইপিএ নিয়ে আলোচনায় সম্মত হয়েছে।
সোমবার সন্ধ্যায় তিনি বাংলাদেশের নেতৃস্থানীয় ব্যবসায়ী নেতা ও চেম্বারদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তার ভারতীয় সমকক্ষ নরেন্দ্র মোদি এলডিসি মর্যাদা থেকে বাংলাদেশের গ্রাজুয়েশনের জন্য সিইপিএ-এর আলোচনা দ্রুত এবং যথাসময়ে সম্পন্ন করতে উভয় পক্ষের বাণিজ্য কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন।
হাইকমিশনার ভারত ও বাংলাদেশ উভয়েরই দ্রুত অর্থনৈতিক উন্নয়নের মাধ্যমে অর্থনৈতিক অংশীদারিত্বের পূর্ণ সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে সীমান্তে উন্নত যোগাযোগ এবং বাণিজ্য অবকাঠামোর গুরুত্ব তুলে ধরেন।
এই প্রেক্ষাপটে, তিনি অন্যান্য স্থল বন্দরে অবকাঠামোগত উন্নতির মাধ্যমে আইসিপি পেট্রাপোল-বেনাপোল-এর যানজট নিরসনের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন এবং সীমাবদ্ধতা ছাড়াই বন্দরের সংখ্যা বৃদ্ধি করে যা স্থলবন্দরে বিনিয়োগকে উৎসাহিত করবে।
হাইকমিশনার সড়ক, রেলপথ, অভ্যন্তরীণ নৌপথ এবং উপকূলীয় শিপিংয়ের মাধ্যমে উপ-অঞ্চলের বৃহত্তর সহযোগিতা, একীকরণ এবং মাল্টি-মডেল সংযোগের প্রয়োজনীয়তার কথাও বলেছেন।
ইন্টারেক্টিভ সেশনে বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় ব্যবসায়িক নেতৃবৃন্দ ও ব্যবসায়ী চেম্বার প্রধানরা উপস্থিত ছিলেন।
সোসাইটি অব ইন্ডিয়ান অটোমোবাইল ম্যানুফ্যাকচারার্স (সিয়াম) এর একটি প্রতিনিধি দল, যা পরিদর্শনের জন্য ঢাকায় রয়েছে, এছাড়াও এই অনুষ্ঠানে অংশ নেয়।
হাইকমিশনার তার বক্তৃতায় দুই দেশের মধ্যে ক্রমবর্ধমান অর্থনৈতিক সম্পৃক্ততার কথা তুলে ধরেন যা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে আমাদের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে উল্লেখযোগ্যভাবে রূপান্তরিত করেছে।
তিনি উল্লেখ করেন যে গত পাঁচ বছরে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য দ্বিগুণেরও বেশি হয়েছে এবং গত অর্থবছরে ভারতে বাংলাদেশের রপ্তানি প্রায় দুই বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে এবং ভারত এশিয়ায় বাংলাদেশের জন্য সবচেয়ে বড় রপ্তানি গন্তব্য হয়ে উঠেছে।