বাংলাদেশ ও কানাডার মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক বৃদ্ধির জন্য জনসম্পৃক্তির পাশাপাশি অর্থনৈতিক কূটনীতির একটি কার্যকর মাধ্যম হিসেবে কানাডা বাংলাদেশ অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন (সিবিএএ) গঠনকে স্বাগত জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সিবিএএ এর নির্বাহী পরিষদের (এক্সকো) সভাপতি খোরশেদ খাস্তগীরের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে তিনি এসব কথা বলেন।
বৃহস্পতিবার সিবিএএ-এর পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
সৌজন্য সাক্ষাতে উপস্থিত ছিলেন মহাপরিচালক (পাবলিক ডিপ্লোমেসি) তৌফিক হাসান, মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক (পররাষ্ট্রমন্ত্রীর কার্যালয়) এমদাদুল ইসলাম চৌধুরী এবং সিবিএএর সহ-সভাপতি সাইফুল ইসলাম, কোষাধ্যক্ষ এজাজ মোহাম্মদ, এক্সকো সদস্য কাজী মঈনুর রহমান এবং এহতেশাম জিলহান বিন সেলিম।
সাক্ষাতে সিবিএএ এক্সকো প্রতিনিধিদল পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে জানান, বাংলাদেশে নিযুক্ত কানাডার পূর্ববর্তী হাইকমিশনার বেনোইট প্রেফন্টেইন ২০১৯ সালে সিবিএএ প্রতিষ্ঠাকালে এর পূর্ণ সমর্থন জানান এবং তাঁর সাথে সহ-প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে ছিলেন ব্র্যাকের প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত স্যার ফজলে হাসান আবেদ, নরওয়েজিয়ান ন্যাশনাল ও গ্রামীণ ফোনের সাবেক সিইও মাইকেল ফোলি এবং বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক খোরশেদ খাস্তগীর।
প্রতিনিধি দলটি পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে আরও জানায়, সম্প্রতি সিবিএএ কোম্পানি আইন ১৯৯৪ এর ২৮ ধারার অধীনে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে লাইসেন্সের জন্য প্রয়োজনীয় অনুমোদন পাওয়ার পর রেজিস্ট্রার অব জয়েন্ট স্টক কোম্পানিজ (আরজেএসসি) কর্তৃক নিবন্ধিত হয়েছে।
সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বের মাধ্যমে বাংলাদেশ ও কানাডার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদার করতে একটি অনন্য প্ল্যাটফর্ম গড়ে তোলার লক্ষ্যে বাংলাদেশ ও কানাডার হাইকমিশনাররা প্রয়োজনমত নির্দেশনা প্রদান করে এক্সকোর সম্মানিত কো-চেয়ার হিসেবে কাজ করবেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দেন এবং ডিজি (পাবলিক ডিপ্লোমেসি) কে সিবিএএ এর সাথে যোগাযোগ করার নির্দেশ দেন যাতে এই ধরনের একটি পূর্ণ সম্ভাবনাময় প্ল্যাটফর্মের জন্য পারস্পরিক যথোপযুক্ত উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়।
প্রেসিডেন্টের নেতৃত্বে এক্সকো প্রতিনিধিদল পরে বাংলাদেশে নিযুক্ত কানাডার নতুন হাইকমিশনার লিলি নিকোলস এবং বাংলাদেশের সিনিয়র সচিব (বাণিজ্য) তপন কান্তি ঘোষের সঙ্গে সৌজন্য আলোচনা করেন। সিবিএএ এক্সকোর অনারারি কো-চেয়ার হাইকমিশনার নিকোলস ও সিবিএএ গঠনকে স্বাগত জানিয়েছেন এবং বাংলাদেশে তার মেয়াদকালে সহায়তা প্রদানের আশ্বাস দিয়েছেন।
আরজেএসসির সাথে সিবিএএকে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য এক্সকো প্রতিনিধিদলকে অভিনন্দন জানিয়ে তপন ঘোষ সিবিএএ এর সাথে একসাথে কাজ করার ইচ্ছা প্রকাশ করেন। তাছাড়া এ প্লাটফর্মের কার্যকর ব্যবহারে সব ধরনের সমর্থনের আশ্বাস দেন যাতে দু’দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্পর্ক আরও উন্নত হয়।
সিবিএএ কানাডাকে মানসম্পন্ন শিক্ষার জন্য পছন্দের গন্তব্য হিসেবে আরও বেশি প্রচার করার লক্ষ্যে একটি শেয়ার্ড কমিউনিটি তৈরি করতে মানুষের সাথে যোগাযোগের জন্য আরও বেশি লোককে উৎসাহিত করতে চায়।
সিবিএএ এক্সকো প্রতিনিধিদল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, ঢাকায় অবস্থানরত কানাডার হাইকমিশন এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে ইনকর্পোরেশন চলাকালীন সব ধরনের সহযোগিতা করার জন্য ধন্যবাদ জানায়। বাংলাদেশ ও কানাডার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক বৃদ্ধিতে উচ্চ আশাবাদ ও সহযোগিতামূলক প্রচেষ্টা ও উদ্যোগ গ্রহণের জন্য প্রস্তুত রয়েছে।