ঢাকা-বরগুনা রুটে সুগন্ধা নদীতে অভিযান-১০ লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডের এক বছর পূর্ণ হল আজ (শনিবার)। ভয়াবহ সেই স্মৃতি মনে করে এখনও শিউরে ওঠেন নিহতের স্বজন ও বেঁচে যাওয়া যাত্রীরা। এখনও কান্না থামছে না স্বজনহারা মানুষের।
পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম মানুষকে হারিয়ে থমকে গেছে অনেক পরিবার। এদিকে, এখনও মেলেনি সরকারি সহায়তা বলে তারা জানিয়েছেন।
গত বছর ২৪ ডিসেম্বর ভোরে ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে ওই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় মোট ৪৯ জন নিহত হন। তাদের মধ্যে ৩৭ জনই বরগুনার বাসিন্দা ছিলেন। ২৫ জনের লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
অজ্ঞাত ২৪ লাশের মধ্যে ১৬ জনের লাশের ডিএনএ শনাক্ত করা হয়েছে। এছাড়া ডিএনএ রিপোর্ট মেলেনি আটজনের।
ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে এমভি অভিযান-১০ লঞ্চে থাকা খলিল দম্পতির আগুনে দগ্ধ হয়ে মারা যায় তাদের তিন সন্তান, আহত হয়ে তিন মাস চিকিৎসা নিয়েছেন খলিলের স্ত্রী। তিন সন্তানের ছবি বুকে নিয়ে কেঁদে ওঠেন সেই দিনের ভয়াল স্মৃতি মনে করে খলিল দম্পতি।
এঘটনায় দগ্ধ হয়েছেন শতাধিক যাত্রী। আর অজ্ঞাত পরিচয়ে দাফন করা হয়েছে ২৪ট লাশ। লাশ শনাক্তের জন্য ৫১ জনের নমুনা সংগ্রহ করে সিআইডি। এই ২৩ জনের মধ্যে ১৬ জনের পরিচয় শনাক্ত হয়েছে সিআইডির ডিএনএ টেস্টে।
শনাক্ত হওয়া লাশের কবরগুলো সরকারি সহায়তাসহ দ্রুত হস্তান্তরের দাবি নিহতদের স্বজনদের।
এছাড়া এক বছরেও শনাক্ত হওয়া লাশের কবরগুলো হস্তান্তর ও সরকারি সহায়তা না পাওয়ায় অনেক পরিবার মানবেতর জীবনযাপন করছে, তাই দ্রুত সহয়তার দাবী সচেতন মহলের।
ডিএনএ টেস্ট আটটি লাশ এখনো শনাক্ত হয়নি। শনাক্ত হওয়া লাশের কবরগুলো আদালতের মাধ্যমে স্বজনদের বুঝিয়ে দেয়া হবে, এছাড়া নিহত পরিবারদের শিগগিরই সহয়তার আশ্বাস জেলা প্রশাসনের।