বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, প্রশাসনে বিএনপির লোক বসে আছে, এমন বক্তব্য শিশুতোষ। সচিবালয়ের ভেতরে বসে থাকা ফ্যাসিবাদের দোসরদের কাছ থেকে বাড়তি সুবিধা পাচ্ছে বলেই কি তাদের সরানো হচ্ছে না, উল্টো এমন প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।
বুধবার (২৩ এপ্রিল) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘বর্তমান প্রেক্ষাপটে গণতন্ত্র, সংস্কার ও বাস্তবতা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ প্রশ্ন তুলেন।
তিনি বলেন, সচিবালয়ের ভেতরে ৪ জন, বাইরে একজনসহ সচিব পদমর্যাদার ৫ জন এবং উপদেষ্টা পরিষদে থাকা কিছু লোক প্রধান উপদেষ্টাকে সঠিক পথে চলতে দেবে না। তাই প্রধান উপদেষ্টাকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান তিনি।
মির্জা আব্বাস বলেন, আওয়ামী লীগকে যারা দেশে পুনর্বাসিত করার চেষ্টা করবে তাদের বিরুদ্ধে সংগ্রাম অব্যাহত থাকবে। দলটির দ্বারা বিএনপির চাইতে আর কেউ বেশি নির্যাতিত নয়। যদি ফ্যাসিবাবিরোধী ঐক্যে বিভক্তি সৃষ্টি হয়, তাহলে আবারও ভারতীয় আধিপত্যবাদের কবলে পড়বে বাংলাদেশ।
মতভেদ থাকলেও জাতীয় স্বার্থে বিএনপি, জামায়াত, এনসিপিসহ সকলকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে বলে আহবান জানান তিনি।
বিপরীত শক্তি দ্বিধা-বিভক্ত করার চেষ্টা করছে এবং ইউটিউবাররা দেশের ভেতর অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করে রাখতে চায় বলে বিএনপির এ নেতা তার বক্তব্যে উল্লেখ করেন।
বিএনপি সংস্কার ও নির্বাচন উভয়ই চায় উল্লেখ করে মির্জা আব্বাস বলেন, অপ্রয়োজনীয় যে সংস্কার বিপদ ডেকে আনবে এমন সংস্কার চাই না। নির্বাচন নিয়ে ধোঁয়াশা সৃষ্টি হচ্ছে, যা কাম্য নয়।