২০২৪ সালে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে দক্ষিণ আমেরিকার দেশ ভেনিজুয়েলায়। নির্বাচন সুষ্ঠু হওয়ার জন্য দেশটির সরকারি ও বিরোধী দল একটি চুক্তিতে পৌঁছেছে। এরপরই নির্বাচন ইস্যুতে ভেনিজুয়েলার ওপর জারিকৃত নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বুধবার জো বাইডেন প্রশাসন ভেনিজুয়েলার তেল খাতের উপর নিষেধাজ্ঞাগুলো শিথিল করেছে। মার্কিন ট্রেজারি বিভাগের জারি করা একটি নতুন সাধারণ লাইসেন্সে ওপেক সদস্য ভেনিজুয়েলাকে অনুমোদন করেছে।
এর আগে ২০১৯ সাল থেকে মার্কিন নিষেধাজ্ঞার অন্তর্ভুক্ত ছিল দেশটি।
পরবর্তী ছয় মাস কোনো সীমাবদ্ধতা ছাড়াই পছন্দমত বাজারে তেল উৎপাদন এবং রফতানি করতে পারবে ভেনিজুয়েলা।
যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার হুমকির মুখে ২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন নিয়ে সমঝোতায় পৌঁছে ভেনেজুয়েলার সরকার ও বিরোধী দল। কিন্তু শীর্ষ এক রাজনৈতিক নেতাসহ বিরোধী দলের কয়েকজন সদস্যের প্রার্থী হওয়ায় নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়নি নিকোলা মাদুরোর সরকার।
আগামী বছরের দ্বিতীয়ার্ধে অনুষ্ঠিত হবে ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নির্বাচন।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন প্রেসিডেন্ট মাদুরোকে নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় বিরোধীদের অন্তর্ভুক্ত করায় স্বাগত জানিয়েছেন।
অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন জানিয়েছেন, নভেম্বরের শেষ পর্যন্ত বিরোধী প্রেসিডেন্ট প্রার্থীদের উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া এবং রাজনৈতিক বন্দীদের মুক্তি এবং ভুলভাবে আটক আমেরিকানদের মুক্তি দেওয়ার জন্য মাদুরোকে সময় দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেছেন, ‘নিকোলা মাদুরো যদি এমন পদক্ষেপ (গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া অব্যাহত রেখে সুষ্ঠু নির্বাচন দেওয়া) না নেন তবে যেকোনো সময় এই সুবিধা তুলে নেওয়া হবে।’
গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া অব্যাহত রেখে দেশটিতে নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়া এবং বিরোধীদের দমন-পীড়নের শঙ্কা ব্যাপারে সন্দেহ জানিয়ে ওপেক-এর সদস্য রাষ্ট্র ভেনেজুয়েলার তেল বাণিজ্যের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে যুক্তরাষ্ট্র।
তবে সংকটময় অর্থনৈতিক অবস্থায় থাকা দক্ষিণ আমেরিকার দেশটির সরকার ও বিরোধী দল এই নিষেধাজ্ঞা এড়াতে কিছু বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকেরা এই নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করবে বলে জানানো হয়েছে।