সৌদি আরবের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় আসির প্রদেশে ওমরাহ যাত্রীদের বাস দুর্ঘটনায় নিহত বাংলাদেশীর সংখ্যা বেড়ে ১৮ জনে দাঁড়িয়েছে। এছাড়া ১৬ জন বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
জেদ্দায় বাংলাদেশ কনস্যুলেটের কাউন্সেলর (শ্রম শাখা) কাজী এমদাদ গতকাল বুধবার বিকেলে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
জেদ্দায় বাংলাদেশ কনস্যুলেটের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ওমরাহর উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেওয়া ওই বাসে মোট যাত্রীর সংখ্যা ছিল ৪৭ এবং এদের মধ্যে বাংলাদেশী ৩৪ জন।
দুর্ঘটনায় নিহত ব্যক্তিরা হলেন- ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার কালা মিয়ার ছেলে রুকু মিয়া, গাজীপুরের টঙ্গী উপজেলার মো: আব্দুল লতিফের ছেলে মো: ইমাম হোসাইন রনি, খাইরুল ইসলাম, মো: রাসেল মোল্লা, যশোর কোতোয়ালি থানার কাউসার মিয়ার ছেলে মো: নজরুল ইসলাম, রুহুল আমিন লক্ষ্মীপুরের সবুজ হোসাইন, নোয়াখালীর মো: হেলাল উদ্দিন, কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলার মোহাম্মদ আসিফ, কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলার শাফাতুল ইসলাম, নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার মো: শরিয়ত উল্লাহ’র ছেলে শাহিদুল ইসলাম, তুষার মজুমদার, কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার আব্দুল আউয়ালের ছেলে মামুন মিয়া, মিরাজ হোসাইন কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলার হামিদের ছেলে গিয়াস, কক্সবাজারের রামু উপজেলার কাদের হোসাইনের ছেলে মো: হোসাইন, সাকিব ও রানা মিয়া।
সৌদি আরবের রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিভিশন আল আখবারিয়া জানিয়েছে, ওমরাহযাত্রীদের বাসটি খামিস মুশাইত শহর থেকে রওনা হয়ে মক্কায় যাচ্ছিল। স্থানীয় সময় সোমবার বিকাল ৪টার দিকে আসির প্রদেশের আকাবা শার সড়কে সেটি দুর্ঘটনায় পড়ে।
একটি সেতুর ওপর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাসটি পাহাড়ি দেয়ালে ধাক্কা খায় এবং আগুন ধরে যায়। বাসটির ব্রেকে সমস্যা হয়েছিল বলে জানানো হয়েছে সৌদি সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে।
আভা জেলায় বসবাসরত বাংলাদেশিসহ বিভিন্ন দেশের ওমরাহ যাত্রীদের নিয়ে রুবা আল হিজাজ পরিবহণ কোম্পানির একটি বাস সন্ধ্যায় মক্কার উদ্দেশে যাচ্ছিল। ব্রেক কাজ না করার বাসটি একটি সেতুর সঙ্গে ধাক্কা লেগে উল্টে গিয়ে বাসটিতে আগুন ধরে যায়।