পটুয়াখালীর বাউফলে পূর্ব বিরোধের জের ধরে ছুরিকাঘাতে দুই স্কুল ছাত্র হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় এজাহারভুক্ত আসামি মো. সৈকত ও মো. সিফাতকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার (২৪ মার্চ) সকালে বাউফলের দুমকী সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার শাহেদ আহম্মদ চৌধুরীর নেতৃত্বে সূর্যমনি ইউনিয়নের ইন্দ্রকুল গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে সিফাতকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেফতার প্রথমজনের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে পালিয়ে যাওয়ার সময় সৈকতকে ভোলার চর বোরহানউদ্দিন থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সিফাত ইন্দ্রকুল গ্রামের মো. জলিলের ছেলে এবং সৈকত একই গ্রামের দুলাল হোসেনের ছেলে। তারা পুলিশ হেফাজতে আছে।
গত বুধবার দশম শ্রেণির ছাত্র নিয়াজ মোস্তফা আনসারীর ছেলে মারুফ আনসারী ও বাবুল হাওলাদারের ছেলে নাফিজ হাওলাদারকে স্কুল ছুটির পর বাড়ি ফেরার পথে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়। পূর্ববিরোধের জের ধরে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
নিহত দুই শিক্ষার্থীর পরিবারের বইছে শোকের বন্যা। কান্না থামছেই না কারো। ঘরে থাকা তাদের ব্যবহৃত জিনিসপত্র দেখেই কান্নায় ভেঙে পড়ছেন স্বজনরা।
নাফিজের বাবা বিজিবির সার্জেন্ট মিরাজ মোস্তফা আনসারী জানান, ছেলে পড়াশোনা করে বড় ইঞ্জিনিয়ার হবে– এটাই তাঁর প্রত্যাশা ছিল। সেই আশা শেষ হয়ে গেছে। তিনি জড়িতদের কঠোর শাস্তি দাবি করেন।
এক পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, এখন সভা-সমাবেশে গেলে দেখা যায়, প্রায় ৪০ শতাংশই বিদ্যালয়গামী শিশু-কিশোর। তারা এসব সভা-সমাবেশে গিয়ে নানা অপরাধ দেখে সাহস ও শক্তির সঞ্চার করে। পরে নানা অপরাধে জড়িয়ে পড়ে।
বাউফল থানার ওসি আল মামুন বলেন, শুক্রবার দুপুরে দুই শিক্ষার্থী হত্যার চাঞ্চল্যকর ঘটনায় বাউফল থানায় নিহত নাফিজের মা নার্গিস বেগম বাদী হয়ে ছয়জনকে আসামি ও আরও চার-পাঁচজনকে অজ্ঞাতপরিচয় আসামি করে মামলা করেছেন। পুলিশ জড়িত সৈকত ও সিফাতকে গ্রেপ্তার করেছে। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা।