সংসদ সদস্যের উপস্থিতিতেই আওয়ামী লীগ নেতাদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। বরিশালের উজিরপুর উপজেলায় স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে এসে আওয়ামী লীগের এক সহ-সভাপতিকে পিটিয়েছেন আরেক সহ-সভাপতি।
রবিবার(২৬ মার্চ) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে উজিরপুর উপজেলা পরিষদের সামনে এ মারামারির ঘটনা ঘটে। মারধরে আহত আওয়ামী লীগ নেতাকে উজিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
জানা গেছে, মারধরে আহত উজিরপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের ওই সহসভাপতির নাম মো. ইদ্রিস সরদার (৪৫)। তাঁকে পিটিয়েছেন একই কমিটির সহসভাপতি ও উজিরপুর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মো. হাফিজুর রহমান ওরফে ইকবাল।
মারামারিতে জড়ানো আওয়ামী লীগের দুই নেতাই বরিশাল-২ আসনের সংসদ সদস্য মো.শাহ আলম তালুকদারের অনুসারী।
দুজনই এই সংসদ সদস্যের সঙ্গে স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে এসেছিলেন।
স্থানীয়দের ভাষ্যমতে, স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে উজিরপুর উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে আজ সকাল ১০টায় উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে একটি আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। সংসদ সদস্য মো. শাহ আলম তালুকদার এতে প্রধান অতিথি ছিলেন। সকাল সাড়ে ৯টার দিকে প্রধান অতিথি অনুষ্ঠানস্থলে হাজির হলে তাঁর সঙ্গে ছিলেন হাফিজুর রহমান ও ইদ্রিস সরদার।
হঠাৎ করেই হাফিজুর রহমান সংসদ সদস্যের সামনে ইদ্রিস সরদারকে নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করলে ইদ্রিস এর প্রতিবাদ করেন। এরপর হাফিজুর তাঁকে সংসদ সদস্যের সামনেই মারধর শুরু করেন।
মারধরের শিকার উজিরপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মো. ইদ্রিস সরদার অভিযোগ করেন, সংসদ সদস্যর সামনে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান আমাকে নিয়ে কটূক্তি ও অশালীন মন্তব্য করেন। আমি তাঁর কথার প্রতিবাদ করলে হাফিজুর রহমান আমার ওপর হামলা চালিয়ে মারধর শুরু করেন। এ সময় তাঁর সঙ্গে থাকা ছাত্রলীগ ও যুবলীগ ক্যাডার কাজী রিয়াজ (২৭), পলাশ তালুকদার (৩০), রুবেল হোসেন (২৫), ইদ্রিসসহ ৭ থেকে ৮ জন সন্ত্রাসী আমাকে লাঠিপেটা করে রক্তাক্ত জখম করেছেন। স্থানীয় লোকজন আমাকে উদ্ধার করে উজিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
তবে মারধরের অভিযোগ সত্য নয় বলে দাবি করেছেন উজিরপুর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মো. হাফিজুর রহমান। তিনি বলেন, আমার বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগ সঠিক নয়। তবে শুনেছি ইদ্রিসের সঙ্গে কর্মীদের গন্ডগোল হয়েছে।
উজিরপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. কামরুল হাসান বলেন, উপজেলা পরিষদের সামনে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান এক আওয়ামী লীগ নেতাকে মারধর করেন। তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এখনো এ ঘটনায় কোনো মামলা হয়নি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।