হবিগঞ্জে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে। এসময় পুলিশসহ উভয়পক্ষের প্রায় শতাধিক নেতাকর্মী আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
রোববার (২০ আগস্ট) বিকেলে জেলা শহরের শায়েস্তানগরে বিএনপি কার্যালয়ের সামনে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি নেতাকর্মীরা এ সংঘর্ষে জড়ায়।
প্রায় দুই ঘণ্টা ধরে চলা সংঘর্ষে উভয়পক্ষের শতাধিক নেতাকর্মী আহত হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ রাবার বুলেট ও কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শনিবার (১৯ আগস্ট) বিএনপির সন্ত্রাস, নৈরাজ্য ও জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টির প্রতিবাদে রোববার বিকেলে শহরের শায়েস্তানগর পয়েন্টে প্রতিবাদ সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল আয়োজন করে আওয়ামী লীগ। ঘোষণা অনুযায়ী নেতাকর্মীরা বিকেলে সমাবেশস্থলে জড়ো হন। সমাবেশ শেষে মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি বিএনপি কার্যালয়ের সামনে পৌঁছালে বিএনপি নেতাকর্মীদের টানানো ব্যানার-ফেস্টুন ছিঁড়ে সন্ত্রাসবিরোধী স্লোগান দিতে থাকে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। এরপর হঠাৎ উভয়পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে ছুটে যায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ রাবার বুলেট ও কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করে।
এবিষয়ে হবিগঞ্জ সদর মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. বদিউজ্জামান জানান, বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। তবে কত রাউন্ড রাবার বুলেট এবং কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ হয়েছে তা এখন বলা সম্ভব নয়।
জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মো. আলমগীর চৌধুরী বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ সমাবেশ করেছি। সমাবেশ শেষে শান্তিপূর্ণ মিছিল বের করি। এ সময় হঠাৎ বিএনপি নেতাকর্মীরা ইটপাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকলে সংঘর্ষ শুরু হয়। এতে আমাদের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী আহত হন। তবে হতাহতের সংখ্যা এখনই বলা সম্ভব নয়।
বিএনপির কেন্দ্রীয় সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ও সাবেক পৌর মেয়র জি কে গউছ বলেন, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে লাঠিসোটা সহকারে হঠাৎ আমাদের দলীয় কার্যালয়ে হামলা করে। অফিসে ব্যাপক ভাঙচুর করেছে। আমার বাসায় হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করেছে। পুলিশও তাদের সঙ্গে সংঘর্ষে যোগ দিয়েছে। হামলায় পৌর কাউন্সিলর শফিকুর রহমান সিতুসহ শতাধিক নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।
এর আগে শনিবার(১৯ আগস্ট) কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে জেলা বিএনপি পদযাত্রা কর্মসূচির আয়োজন করে। কর্মসূচি শেষে বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়। এতে বিএনপির বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী গুলিবিদ্ধসহ শতাধিক আহত হন।