হবিগঞ্জে জেলা পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের ডাকা অনির্দিষ্টকালের পরিবহন ধর্মঘট প্রত্যাহার করে নিয়েছেন আন্দোলনকারীরা। গতকাল রোববার রাত নয়টায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে প্রশাসনের সঙ্গে শ্রমিক নেতাদের এক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়।
হবিগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেলা হাসপাতাল প্রাঙ্গণের ভেতরে অ্যাম্বুলেন্স রেখে ব্যবসা করতে চেয়েছিল জেলা পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের অধীন পরিচালিত জেলা অ্যাম্বুলেন্স সমিতি। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এ সুযোগ না দেওয়ায় গতকাল রোববার সকাল ছয়টা থেকে পরিবহন ধর্মঘট পালন করে জেলা পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়ন। এতে জেলার সঙ্গে ঢাকাসহ সারা দেশের পরিবহন যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। ফলে ভোগান্তির মধ্যে পড়েন বিভিন্ন গন্তব্যের যাত্রীরা।
হবিগঞ্জ জেলা বাস, মিনিবাস, কোচ ও মাইক্রোবাস শ্রমিক ইউনিয়নের নেতারা দাবি করেন, তাঁরা হঠাৎ ধর্মঘটের ডাক দেননি। জেলা প্রশাসনকে বিকল্প জায়গায় (হাসপাতালের সামনে) অ্যাম্বুলেন্স রাখার স্থান নির্ধারণ করে দেওয়ার জন্য তাঁরা সময়সীমা বেঁধে দেন। কিন্তু প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় বাধ্য হয়ে এ ধর্মঘটের ডাক দেন তাঁরা। পাশাপাশি তাঁরা তাঁদের ৯ দফা দাবি তুলে ধরেন জেলা প্রশাসনের কাছে।
প্রশাসনের কাছে তাঁদের ৯ দফা দাবির মধ্যে ছিল হাসপাতাল প্রাঙ্গণের ভেতরে অ্যাম্বুলেন্স রাখার অনুমোদন, হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক আমিনুল ইসলাম সরকারকে প্রত্যাহার, পুলিশ দিয়ে অ্যাম্বুলেন্সচালকদের হয়রানি বন্ধ করা, হাসপাতাল পরিচালনা কমিটি ও জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটিতে জেলা শ্রমিক ইউনিয়নকে অন্তর্ভুক্ত করা।
এদিকে ধর্মঘট চলা অবস্থায় গতকাল রোববার রাত আটটায় হবিগঞ্জ জেলা পরিবহন শ্রমিক নেতারা জেলা প্রশাসক ইশরাত জাহানের সঙ্গে এক জরুরি সভায় বসেন। জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে দীর্ঘ আলোচনা শেষে রাত নয়টায় আগামীকাল সোমবার থেকে এ ধর্মঘট প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত হয়।
হবিগঞ্জ জেলা পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মো. সজিব আলী বলেন, জেলা প্রশাসক তাঁদের নতুন জায়গায় অ্যাম্বুলেন্স রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। যে কারণে তাঁরা এ ধর্মঘট প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
জেলা প্রশাসক ইশরাত জাহান জানান, শ্রমিকদের দাবিগুলো তাঁরা যাচাই-বাছাই করে বিবেচনায় নেওয়ার চেষ্টা করবেন। শ্রমিকেরা আগামীকাল থেকে তাঁদের ধর্মঘট প্রত্যাহার করে নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।