দীপ্ত টিভির সম্প্রচার কর্মকর্তা তানজিল জাহান ইসলাম তামিমের হত্যার ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তার ও বিচার দাবিতে শনিবার (১২ অক্টোবর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে একটি মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন তামিমের মা খুরশিদা বেগম। তিনি বলেন, “আমার কিছু বলার নাই। আমার ছেলে খুব নিরীহ ছিল। সে কখনো কারও সঙ্গে বেয়াদবি করেনি। সবাইকে সালাম দিয়ে কথা বলত। আমার ছেলেকে মেরে ফেলেছে। সে যখন মারা যাচ্ছিল, তখন বলছিল, ‘মা, আমার বুকটা ব্যথা করছে।’ আমি বুঝতে পারিনি, হাসপাতালে নিয়ে যেতে যেতে শেষ হয়ে গেল।”
তিনি অভিযোগ করেন, “মো. রুবেল শেখ, মামুন, কবিরসহ কয়েকজন ষড়যন্ত্র করে আমার বাচ্চাকে হত্যা করেছে। আমার বড় ছেলেকে ধরে রেখেছিল পাঁচ-ছয়জন। আমার ছেলেকে মেরে ফেলেছে। আল্লাহ, আমার বাচ্চার হত্যার বিচার করো।”
আহাজারি করে খুরশিদা বেগম আরও বলেন, “আমার বুকটা জ্বলছে। একটা মানুষকে এভাবে মেরে ফেলা যায়? রবিউল ও মামুন, আমার বাচ্চাকে মেরে কী লাভ হলো? আমরা কোনোদিন অন্যায় করি নাই। আমি ড. ইউনূসসহ সব উপদেষ্টার কাছে আমার বাচ্চার হত্যার বিচার চাই।”
মানববন্ধনে তামিমের বাবা সুলতান আহমেদ, বড় ভাই শামভিল জাহান ইসলাম, ভাবি ফারিয়া, ভাতিজি মুনাজাসহ পরিবারের অন্যান্য সদস্য, সহকর্মী ও সহপাঠীরা অংশগ্রহণ করেন। তারা বিভিন্ন দাবি সম্বলিত প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করেন, যেমন— “নতুন বাংলাদেশে নাগরিকদের প্রাণের নিরাপত্তা চাই”, “তামিম হত্যার বিচার চাই”, “জাস্টিস ফর তামিম”।
প্রসঙ্গত, ১০ অক্টোবর রাজধানীর পশ্চিম রামপুরার হাতিরঝিল-সংলগ্ন এলাকায় তামিমকে ২০-২৫ জন ব্যক্তি পিটিয়ে হত্যা করে। জমির বিতর্ক নিয়ে এই হত্যাকাণ্ড ঘটে। নিহতের বাবা সুলতান আহমেদ বাদী হয়ে হাতিরঝিল থানায় বিএনপি নেতা রবিউল আলম রবি, মামুনসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। এ মামলায় এখন পর্যন্ত ৫ জন গ্রেপ্তার হয়েছেন।