আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর তিন মাস পার হয়েছে। দেশের সাধারণ ছাত্র-জনতার উপর নির্বিচারে গুলি চালিয়ে হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার। এ পর্যায়ে সাবেক স্বৈরাচার সরকারের অধীনে সংগঠিত নানা অপরাধের তথ্য উঠে আসছে জাতীয় দৈনিক। এরমধ্যে অন্যতম বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনা।
জানা যায় শেখ হাসিনার নির্দেশেই এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছিলো।
পিলখানা হত্যাকাণ্ডের দুই বছর আগে থেকেই এর পরিকল্পনা হয়। দেশের ইতিহাসে নৃশংসতম ঘটনার পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য ২০০৭ সালেই বিপথগামী বিডিআর সদস্যরা ব্যারিস্টার ফজলে নূর তাপসের সঙ্গে যোগাযোগ করেন।
হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হওয়ার আগে বেশ কয়েকবার তাপসের সঙ্গে তাঁদের বৈঠক হয়। সর্বশেষ ২০০৯ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক বিডিআর সদস্য তোরাব আলীর বাড়িতে অনুষ্ঠিত বৈঠকে তাপস বিডিআর ডিজি (মহাপরিচালক) ও তাঁর স্ত্রীকে হত্যার পরিকল্পনা অনুুমোদন করেন।
ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝিতে শেখ সেলিমের সঙ্গেও ১০-১২ জন বিডিআর সদস্য দেখা করেন। বিপথগামী বিডিআর সদস্যদের জানানো হয়েছিল, ওই হত্যাকাণ্ড সংঘটনে শেখ হাসিনা সরকারের সম্মতি আছে। সে সময় পিলখানাজুড়ে জয় বাংলা স্লোগান শোনা গেছে।