প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা রাজধানীতে আগামী ১০ ডিসেম্বর বিএনপির মহাসমাবেশকে ঘিরে কেউ যেন পরিবহন ধর্মঘট ডাকতে না পারে, সে বিষয়ে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন।
গতকাল রবিবার গণভবনে আওয়ামী লীগের স্থানীয় সরকার জনপ্রতিনিধি মনোনয়ন বোর্ডের বৈঠকে তিনি এ নির্দেশনা প্রদান করেন।
তিনি বলেন, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বিএনপিকে নির্বিঘ্নে মহাসমাবেশ অনুষ্ঠানের সুযোগ করে দিতে—এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এদিকে বিএনপির মহাসমাবেশের সুবিধার্থে ছাত্রলীগের সম্মেলন এগিয়ে আনার ঘোষণা দিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
আগামী ৬ ডিসেম্বর ছাত্রলীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে।
এই সম্মেলন শেষ হওয়ার দুই দিনের মধ্যেই সম্মেলন মঞ্চ ও প্যান্ডেল সরিয়ে ফেলার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
এর আগে বিএনপির চলমান বিভাগীয় গণসমাবেশগুলোতে বাধাগ্রস্ত করতে পরিকল্পিত পরিবহন ধর্মঘট ডাকার অভিযোগ উঠেছিল। চট্টগ্রাম ও কুমিল্লার বিভাগীয় গণসমাবেশ বাদে সবগুলো গণসমাবেশের আগেই এমন পরিবহন ধর্মঘট ডাকার অভিযোগ ওঠে। আগামী ৩ ডিসেম্বর রাজশাহীতে বিভাগীয় গণসমাবেশের কর্মসূচি থাকলেও ১ ডিসেম্বর থেকে সেখানেও পরিবহন মালিক ও শ্রমিক সংগঠনের ব্যানারে পরিবহন ধর্মঘট ডাকা হয়েছে। এই অবস্থায় ১০ ডিসেম্বর ঢাকায় বিএনপির মহাসমাবেশকে ঘিরে পরিবহন ধর্মঘট না ডাকার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর উল্লেখিত নির্দেশনা এলো।
এদিকে, ১০ ডিসেম্বরের গণসমাবেশের বিষয়ে সরকারের এমন নমনীয় অবস্থানের পরও বিএনপির সংশয়ের অবসান হচ্ছে না। এটা সরকারের কোনো ‘রাজনৈতিক কৌশলের অংশ’ কিনা সে নিয়ে সন্দেহ করছেন দলটির নেতারা। এমন পরিস্থিতিতে দলীয় ফোরামে আলোচনার পরই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন দলটির নেতারা।