শনিবার, ১২ জুলাই, ২০২৫

১২৮ জনের বহিষ্কারাদেশ আমাদের সাথে তামাশার সমতূল্য; সাদেক কাইয়ুম

-বিজ্ঞাপণ-spot_img

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জুলাই বিপ্লবে শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগের ‘বর্বরোচিত’ হামলার ঘটনায় ক্যাম্পাস প্রশাসনের মাত্র ১২৮ জনের বহিষ্কার আদেশ নিয়ে এবার প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন বাংলাদেশ ইসলামি ছাত্রশিবিরের প্রকাশনা সম্পাদক এবং জুলাই আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সাদেক কাইয়ুম।

মঙ্গলবার নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেইজে এক পোস্টে তিনি এ বিষয়ে নিজের মতামত জানিয়েছেন।  ১২৮ জনের বহিষ্কার আদেশকে তিনি ‘তামাশা’ হিসেবেই উল্লেখ করেছেন।

সাদেক কাইয়ুম বলেন, ‘ফ্যাসিস্ট হাসিনাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ১৪জুলাই স্বতঃস্ফূর্তভাবে ‘তুমি কে আমি কে— রাজাকার রাজাকার’ স্লোগানে প্রকম্পিত করে৷ গত ষোল বছরের জুলুম-নির্যাতনকে বৈধতা দেওয়ার হাতিয়ার ট্যাগিং এর কল্পিত ন্যারেটিভকে এভাবে ভেঙ্গে দেওয়ায় ফ্যাসিস্টরা বরদাস্ত করতে পারেনি।’

ফেসবুক পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‘১৫ জুলাই রাজু ভাস্কর্যের সামনে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বুয়েট, সাত কলেজ, মেডিকেল কলেজসহ আশেপাশের শিক্ষার্থীরা জড়ো হয় প্রতিবাদ কর্মসূচিতে।’

সেই সময়টাকে স্মরণ করে তিনি জানান, ‘শান্তিপূর্ণ প্রোগ্রামের শেষের দিকে ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা আমাদের নিরস্ত্র ভাই-বোনদের উপর পৈশাচিক হামলা চালায়। সেদিন ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীদের হামলায় রক্তাক্ত হয়েছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। বোনদেরকে রক্তাক্ত করা হয়েছিল নির্মমভাবে। এই ন্যাক্কারজনক হামলার স্থিরচিত্রগুলো দেখলে এখনো আঁতকে উঠি।রেজিস্ট্রার ভবনে সমন্বয়কসহ কিছু শিক্ষার্থী আটকা পড়ে। দ্রুত তাদের উদ্ধার করার ব্যবস্থা করি।’

জুলাই বিপ্লবের এই সমন্বয়ক বলেন, তৎকালীন সাংগঠনিক সম্পাদক Md Mohiuddin Khan আর আমি তাৎক্ষণিক ছুটে যাই ঢাকা মেডিকেলে। আহতদের সর্বোচ্চ চিকিৎসার জন্য ইনিশিয়েটিভ নেই। তারই মধ্যে হাসপাতালে ঢুকে আবারো আহতদের হামলা চালায় নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ!এই দিনগুলো এখনো চোখের সামনে জীবন্ত। মাত্র ১২৮ জনের বহিষ্কারাদেশ আমাদের সাথে তামাশার সমতুল্য। আমরা প্রত্যেক হামলাকারীকে চিহ্নিত করে প্রমাণসমেত প্রশাসনের নিকট হস্তান্তর করি— যার সংখ্যা প্রায় পাঁচশত। আমাদের ধারণা হামলাকারী ও শিক্ষার্থী নির্যাতনকারীদের প্রকৃত সংখ্যা সহস্রাধিকের আশেপাশে হবে।

সাদেক কাইয়ুম বলেন, এজন্য আমরা এই তদন্ত রিপোর্ট ও গৃহীত পদক্ষেপে মোটেও সন্তুষ্ট নই। যেখানে ঢাবি ছাত্রলীগের শীর্ষ সন্ত্রাসী সৈকত পার পেয়ে যায় সেখানে আর কোনো বিশ্বস্ততা থাকতে পারে না।

ফেসবুকে পোস্টে স্বল্পসময়ের মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে প্রকৃত অপরাধীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানান তিনি। 

শেয়ার করুন

সর্বশেষ নিউজ

‘সন্ত্রাসীদের যদি বিচার না করতে পারেন, সসম্মানে ক্ষমতা ছেড়ে দিয়ে চলে যান’

রাজধানীর মিটফোর্ডে সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজের সামনে নৃশংস হত্যাকাণ্ড ও সারাদেশে চলমান হত্যা, ধর্ষণ ও চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের বিচারের দাবিতে প্রতিবাদ মিছিল ও বিক্ষোভ...

হত্যাকাণ্ডের দ্রুত বিচারের দাবিতে কুবিতে বিক্ষোভ মিছিল

রাজধানীর মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে এক ব্যবসায়ীকে যুবদল নেতা কর্তৃক নৃশংসভাবে হত্যার প্রতিবাদ এবং দেশব্যাপী অব্যাহত চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কার্যক্রমের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল করেছে কুমিল্লা...

জাবিতে বিক্ষোভ মিছিল

পুরান ঢাকার স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ (মিটফোর্ড) হাসপাতালের ৩ নম্বর ফটকে যুবদল নেতা কর্তৃক ব্যবসায়ীকে নৃশংসভাবে পিটিয়ে হত্যার প্রতিবাদ ও সারাদেশে অব্যাহত চাঁদাবাজি, সন্ত্রাসবাদের...

মিটফোর্ডে ব্যবসায়ীকে হত্যার প্রতিবাদে নোবিপ্রবিতে বিক্ষোভ

ঢাকার মিটফোর্ড এলাকায় এক ব্যবসায়ীকে পাথর নিক্ষেপে হত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেছে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) শিক্ষার্থীরা।শুক্রবার (১১ জুলাই) রাত ১০টা...

সম্পর্কিত নিউজ

‘সন্ত্রাসীদের যদি বিচার না করতে পারেন, সসম্মানে ক্ষমতা ছেড়ে দিয়ে চলে যান’

রাজধানীর মিটফোর্ডে সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজের সামনে নৃশংস হত্যাকাণ্ড ও সারাদেশে চলমান হত্যা, ধর্ষণ ও...

হত্যাকাণ্ডের দ্রুত বিচারের দাবিতে কুবিতে বিক্ষোভ মিছিল

রাজধানীর মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে এক ব্যবসায়ীকে যুবদল নেতা কর্তৃক নৃশংসভাবে হত্যার প্রতিবাদ এবং দেশব্যাপী...

জাবিতে বিক্ষোভ মিছিল

পুরান ঢাকার স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ (মিটফোর্ড) হাসপাতালের ৩ নম্বর ফটকে যুবদল নেতা কর্তৃক...