চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তির ২৮ হাজার শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া বিভিন্ন আইনি জটিলতা আটকে রয়েছে। প্রাথমিক সুপারিশপ্রাপ্ত প্রার্থীরা চূড়ান্ত সুপারিশ নিয়ে চাকরিতে যোগদানের অপেক্ষায় দিন গুনছেন। সর্বশেষ এক প্রার্থীর রিটের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্ট নিয়োগ প্রক্রিয়ায় স্থগিতাদেশ দেন। জটিলতা নিরসনে চেম্বার আদালতে আবেদন করে বেসরকারি শিক্ষক নিয়োগ ও প্রত্যায়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ)।
বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) চেম্বার আদালতে এনটিআরসিএ’র আবেদনের শুনানি হয়। এতে আসা নির্দেশনা অনুযায়ী, নিয়োগ প্রক্রিয়া চালাতে কোনো বাধা নেই সংস্থাটির। এখন আদালতের নির্দেশে কিছু পদ বাদ রেখে সুপারিশ করতে পারবে এনটিআরসিএ।
এনটিআরসিএ সূত্র জানিয়েছে, আইনি জটিলতা কেটে গেছে। এখন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অনুমতির অপেক্ষা। অনুমতি পেলেই যেকোনো দিন ২৮ হাজার শিক্ষক নিয়োগের চূড়ান্ত সুপারিশ করা হবে।
এনটিআরসিএ আগস্টের শেষ সপ্তাহে ২৮ হাজার শিক্ষক নিয়োগের চূড়ান্ত সুপারিশ করতে চেয়েছিল। ৩১ আগস্ট আদালত থেকে স্থগিতাদেশের কাগজপত্র এনটিআরসিএ সচিবের দপ্তরে পৌঁছেছে। ফলে আটকে যায় সুপারিশ প্রক্রিয়া।
জানা গেছে, কিশোরগঞ্জের সাকিকুন নাহার নামে একজন নিবন্ধনধারীর নম্বর ছিল ৬৩। তার আবেদন করা পদে ৬১ নম্বর পাওয়া নিবন্ধনধারীকে প্রাথমিক সুপারিশ করে এনটিআরসিএ। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে ওই প্রার্থী হাইকোর্টে রিট করেন। আদালত রিটের শুনানি নিয়ে চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তির নিয়োগ কার্যক্রমের ওপর ছয়মাসের স্থগিতাদেশ দিয়েছেন, যার নথিপত্র ৩১ আগস্ট এনটিআরসিএ সচিব দপ্তরে পৌঁছে।
এর আগে চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তিতে শিক্ষক নিয়োগে আরও এক দফা আইনি জটিলতার সৃষ্টি হয়। তখন বরিশালের একজন প্রার্থী প্রাথমিক সুপারিশ না পেয়ে উচ্চ আদালতে রিট করেছিলেন। সেবারও আদালত শুনানি নিয়ে স্থগিতাদেশ দিয়েছিল। আইনি প্রক্রিয়ায়ই তা নিষ্পত্তি করে এনটিআরসিএ।
চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয় ২০২২ সালের ২১ ডিসেম্বর। গত ১২ মার্চ প্রাথমিক সুপারিশের ফল প্রকাশ করা হয়। এতে দেশের স্কুল-কলেজ, মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক পদে নিয়োগের জন্য ৩২ হাজারের বেশি প্রার্থীকে নির্বাচন করা হয়।
এর প্রায় দেড় মাস পর তাদের চূড়ান্ত সুপারিশের জন্য প্রথমবারের মতো অনলাইনে ভি-রোল ফরম পূরণের নির্দেশ দেয় এনটিআরসিএ। এরপর আরও দুই দফায় ফরম পূরণের সময় বাড়ানো হয়। এ পর্যন্ত ২৮ হাজারের মতো প্রার্থী ভি-রোল ফরম পূরণ করে নিয়োগের অপেক্ষায় রয়েছেন।