রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে গায়ে আগুন দিয়ে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ও ঠিকাদার গাজী আনিস মৃত্যুবরণ করেছেন। রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে মঙ্গলবার ভোর ৬টা ১০ মিনিটে তার মৃত্যু হয়। এদিকে তার আত্মহত্যার ঘটনায় হেনোলাক্স গ্রুপের কর্ণধার নুরুল আমিন ও তার স্ত্রী ফাতেমা আমিনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
নিহত আনিসের বড় ভাই নজরুল ইসলাম মঙ্গলবার দুপুরে শাহবাগ থানায় এ মামলা করেন। শাহবাগ থানার এসআই গোলাম হোসেন খান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, মামলায় আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগ আনা হয়েছে। আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সোমবার বিকালে প্রেসক্লাবের ফটকের ভেতরে খোলা স্থানে আনিস নিজের গায়ে আগুন দেন। তার গায়ে আগুন জ্বলছে দেখে আশপাশ থেকে সবাই ছুটে যান। তারা পানি ঢেলে আগুন নেভান। তবে ততক্ষণে তার শরীরের বড় অংশ পুড়ে যায়।
পরে তাকে উদ্ধার করে রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে নেওয়া হয়। এরপর রাতভর চেষ্টা চললেও মঙ্গলবার ভোর ৬টা ১০ মিনিটে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন গাজী আনিস।
৫০ বছর বয়সি গাজী আনিসের বাড়ি কুষ্টিয়ায়, তিনি ঠিকাদারি ব্যবসায় যুক্ত ছিলেন। একসময় কুষ্টিয়া জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলেন তিনি। গাজী আনিস ১৯৯১ সালে কুষ্টিয়া সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলেন। ১৯৯৩ সালে কুষ্টিয়া জেলা ছাত্রলীগের সভাপতির দায়িত্ব পেয়েছিলেন তিনি।