ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে পদত্যাগ করে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতা ছাড়ার পরই নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনুসকে প্রধান উপদেষ্টা করে গঠন করা হয় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। এ সরকারের একেকজন উপদেষ্টার অধীনে রয়েছে কয়েকটি মন্ত্রণালয়৷ এতে হিমশিম খেতে হচ্ছে দায়িত্বপ্রাপ্তদের। এবার উপদেষ্টা পরিষদে নতুন করে সদস্য সংখ্যা বাড়ানো হচ্ছে।
জানা গেছে, অন্তর্বতী সরকারের নতুন উপদেষ্টা হিসেবে যুক্ত হতে পারেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের জন্য একজন চিকিৎসক এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের জন্য একজন সাবেক আমলা।
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ে কাজের গতি এবং শৃঙ্খলা ফেরাতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত অভিজ্ঞ ব্যক্তিকে এই মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়ার কথা ভাবা হচ্ছে।
একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসককে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেয়া হতে পারে।
এক্ষেত্রে দুজন চিকিৎসকের নাম আলোচনায় আছে, তাদের মধ্যে একটি বেসরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের একজন সিনিয়র অধ্যাপকের নাম রয়েছে।
সম্প্রতি দ্রব্যমূল্য ও ব্যবসা-বাণিজ্যে চলমান পরিস্থিতি সামাল দিতে নানা জটিলতার মুখোমুখি হচ্ছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ একই সঙ্গে দায়িত্ব পালন করছেন অর্থ মন্ত্রণালয়ের মতো গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়।
একইসাথে তিনি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়েরও দায়িত্ব পালন করছেন। ফলে দেশের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয় সামাল দেওয়া তার পক্ষে কঠিন হয়ে পড়েছে। তাই দুয়েক দিনের মধ্যে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে নতুন উপদেষ্টা নিয়োগ দেওয়া হতে পারে।
নতুন করে উপদেষ্টা পরিষদে যোগ দিতে পারেন এমন তালিকায় আছেন সদ্য এবি পার্টির আহ্বায়ক পদ থেকে পদত্যাগ করা সাবেক সচিব এ এফ এম সোলায়মান চৌধুরীর নাম। তিনি বুধবার দলটির আহ্বায়কের পদ ছাড়েন।
গত ৮ই আগস্ট অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নেন শান্তিতে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তার নেতৃত্বাধীন সরকারে ইতিমধ্যে ২০ জন উপদেষ্টা যুক্ত হয়েছেন। প্রথম দফায় ১৬ জন এবং দ্বিতীয় দফায় আরও ৪ জন উপদেষ্টা নিয়ে সরকার পরিচালিত হচ্ছে। বর্তমানে ড. ইউনূসসহ ২১ সদস্যের উপদেষ্টা পরিষদ সরকারে রয়েছে।