৪৩তম বিসিএসের নিয়োগ থেকে বাদ পড়া প্রার্থীরা অন্তর্ভুক্তির দাবিতে সচিবালয়ের সামনে অবস্থান নিয়েছেন। বুধবার (১ জানুয়ারি) দুপুরে তারা সচিবালয়ের ১ নম্বর গেটের সামনে জড়ো হয়ে বাদ পড়ার কারণ জানতে চান এবং পুনরায় অন্তর্ভুক্তির দাবি জানান।
৪৩তম বিসিএসের জন্য জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের ১৫ অক্টোবরের প্রজ্ঞাপন বাতিল করে গত ৩০ ডিসেম্বর নতুন একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। নতুন প্রজ্ঞাপনে বাদ পড়েন ১৬৮ জন প্রার্থী। এর আগে, ১৫ অক্টোবরের প্রজ্ঞাপনে অন্তর্বর্তী সুপারিশ থেকে ৯৯ জনকে বাদ দিয়ে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল। সবশেষ এই প্রজ্ঞাপনের ফলে মোট ২৬৭ জন প্রার্থী চূড়ান্ত নিয়োগ তালিকা থেকে বাদ পড়েছেন।
পিএসসি ২০২৩ সালের ২৬ ডিসেম্বর এই বিসিএসের চূড়ান্ত সুপারিশ প্রদান করেছিল। তবে ৩০ ডিসেম্বর জারি করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, পিএসসির সুপারিশ পাওয়া ১,৮৯৬ জন প্রার্থীকে সিভিল সার্ভিসের বিভিন্ন ক্যাডারের প্রবেশ পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
২০২০ সালের ৩০ নভেম্বর ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ৪৩তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়। এই বিসিএসে অংশ নিতে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ আবেদন জমা পড়ে, যা ছিল ৪ লাখ ৩৫ হাজার ১৯০টি। প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় অংশ নেন ৩ লাখ ২১ হাজার ৬৫০ জন প্রার্থী।
বাদ পড়া প্রার্থীদের কয়েকজন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিবের দপ্তরে গিয়ে তাদের পুনঃঅন্তর্ভুক্তির বিষয়ে আবেদন জমা দিয়েছেন। তারা দাবি করছেন, কোনো কারণ ছাড়াই তাদের বাদ দেওয়া হয়েছে। সচিবালয়ের সামনে অবস্থান নিয়ে তারা প্রজ্ঞাপন সংশোধনের দাবি জানাচ্ছেন।
এই ঘটনার পর সংশ্লিষ্ট বিষয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় বা পিএসসির কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে বাদ পড়া প্রার্থীদের দাবি, তারা নিয়োগ প্রক্রিয়ার সুষ্ঠু এবং ন্যায়সংগত সমাধান চান।