ক্রমেই জটিল হচ্ছে মধ্যপ্রাচ্যের রাজনীতি। গুরুত্বপূর্ণ এই অঞ্চলে নিজেদের সামরিক মহড়া এবং সক্ষমতা বাড়িয়ে নেয়ার কাজ করছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। সম্প্রতি আরব সাগরের কাছাকাছি অঞ্চলে শক্তিশালী “ফ্লোরিডা সাবমেরিন” মোতায়েন করেছে দেশটি।
এছাড়া পারস্য উপসাগরের তীরে বাহরাইনে নিজেদের ৫ম নৌবহরের শক্তিও বাড়িয়ে নেয়ার কাজ শুরু করেছে ওয়াশিংটন।
এমন পরিস্থিতিতে এবার নিজেদের শক্তি বাড়াতে শুরু করেছে ইরান। দেশটির নৌবাহিনীতে বড় আকারের পরিবর্তন আসবে বলে জানিয়েছে একাধিক আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম। তেহরানের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তারা এবার এমন এক বিমানবাহী রণতরী নিয়ে আসছে, যা বিশ্ব আগে কখনোই দেখেনি। একেবারেই অনন্য এই রণতরী তৈরির কাজও এরমাঝে শুরু হয়েছে।
ইরানের বার্তা সংস্থার সূত্রে জানা যায়, দেশটির প্রভাবশালী ইসলামিক রিভ্যুলুশনারি গার্ড কর্পসের (আইআরজিসি) নৌ ইউনিটের কমান্ডার রিয়ার অ্যাডমিরাল আলী রেজা তাংসিরি এমন রণতরীর কথা নিশ্চিত করেছেন।
গেল সপ্তাহে নৌ বাহিনীর একটি প্রদর্শনী পরিদর্শনে গিয়ে তিনি এই কথা নিশ্চিত করেন। ইরানের এই কমান্ডার জানান, তার দেশ যে মডেলের বিমানবাহী রণতরী তৈরি করছে, তা আর কোনো দেশের কাছে নেই। এ ধরনের কোনো রণতরী এই প্রথম নির্মাণ করছে ইরান। তার এমন ঘোষণা মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে ব্যাপক পরিমাণ সাড়া ফেলেছে।
আলী রেজা তাংসিরি বলেন, ইরানি বিমানবাহী এই রণতরী শুধুমাত্র বিমানই বহনের করবে না। বরং এটি একইসাথে ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের উপযোগী নৌযান বহন করতে সক্ষম হবে।
আইআরজিসির নৌ ইউনিটের প্রধান জানান, এর আগে নির্মিত বিভিন্ন যুদ্ধ জাহাজের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে নতুন নতুন রণতরী তৈরি করা হচ্ছে। ইরানের নির্মিত যুদ্ধ জাহাজগুলো খুবই ভালোভাবে কাজ করছে বলে তিনি উল্লেখ করেন তিনি।
এর আগে, গত মার্চেই ইরানের এমন আগ্রাসী মনোভাবের দেখা পেয়েছে সারাবিশ্ব। নিজেদের তৈরি এক বিশেষ যুদ্ধজাহাজ সেবার নৌবাহিনীতে যোগ করে দেশটির ইসলামিক রিভ্যুলুশনারি গার্ড কর্পস।
দুই হাজার একশ টনের যুদ্ধজাহাজটির নাম দেয়া হয় শহীদ মাহদাভি। এর দৈর্ঘ্য ২৪০ মিটার ও প্রসস্থ ২৭ মিটার। এটি একটি থ্রিডি ফেজড-অ্যারে রাডারের পাশাপাশি ভূমি থেকে ভূমি ও ভূমি থেকে আকাশে নিক্ষেপ যোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে সাজানো হয় জাহাজটিকে।