সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট দিয়ে
সহকারী প্রক্টর ও সহপাঠীকে দায়ী করে আত্মহত্যা করা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থী ফাইরুজ সাদাফ অবন্তিকা যৌন হয়রানির কমিটিতে কোনো অভিযোগ দেননি বলে জানিয়েছেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম।
রোববার (১৭ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
তবে, যৌন হয়রানির কমিটিতে অভিযোগ না দিলেও গত বছরের ১৪ নভেম্বর তৎকালীন প্রক্টর মোস্তফা কামাল বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দেন অবন্তিকা। সেই অভিযোগপত্রে তিনি উল্লেখ করেছিলেন, প্রথম বর্ষে পড়াকালীন সহপাঠী আম্মান সিদ্দিকী তাকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়েছিলেন। সেই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করার পর থেকে আম্মান তাকে উত্ত্যক্ত করতে থাকেন। ক্যাম্পাস চত্বরে, ক্লাসে, করিডরে এবং বিভিন্ন স্থানে আম্মান উত্ত্যক্ত করতেন।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম বলেন, এখানে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে যে আইন আছে, সেই আইন মোতাবেক কাজ করতে হয়। অনেকেই হয়ত এটা বাইরে থেকে বুঝতে পারেন না। এই বিশ্ববিদ্যালয়ে যখন আমাদের আইন দ্বারা কাউকে পেনালাইজ করি তখন সেটা কয়েকটা টায়ারে যেতে হয়। নাহলে সে কিন্তু কোর্টে যেতে পারে এবং কোর্টে যদি আমাদের তদন্তে কোনো দুর্বলতা থাকে তখন সেই সুযোগে কোনো শিক্ষক বা অন্যান্য কেউ থাকে তখন সেটা ফেরত চলে আসে।
তিনি বলেন, এই ধরনের নজির কিন্তু বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে আছে। সেজন্য কোনো তদন্ত তড়িঘড়ি করে করলে সেখানে কিন্তু দুর্বলতা থাকে, বলেন উপাচার্য। আমি আগেই উল্লেখ করেছিলাম কাজটি বড় পরিসরের। কারণ যে মেয়েটি আত্মহত্যা করেছে সে কিন্তু নোটে অনেক কিছুই লিখে গেছে। একজন শিক্ষার্থী যখন বিশ্ববিদ্যালয়ে আসে তখন তার সহপাঠীদের সঙ্গে একটা সম্পর্ক হয়। তার শিক্ষকদের সঙ্গে একটা সম্পর্ক হয়, প্রশাসনের অনেক কর্মকর্তাদের সঙ্গে তার যোগাযোগ হয়। তাই যখন এটা তদন্ত আমরা করি তখন সেটা কিন্তু বড় পরিধিতে সবকিছু সূক্ষ্মভাবে করতে হয়।
বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে সবকিছু এককভাবে হয় না উল্লেখ করে উপাচার্য আরও জানান, সেকারণে সবকিছু সূক্ষ্মভাবে বিশ্লেষণ করে দেখা হবে। প্রত্যেকটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব আইন আছে। আপনারা যদি তুলনামূলক বিশ্লেষণ করে দেখেন, দেখবেন আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের কমিটিগুলো কীভাবে এগুচ্ছে। অনেকগুলো কমিটিই আমি লক্ষ্য করেছি, তারা কাজ করছে। সামনের যে সিন্ডিকেট আছে, সেখানে রিপোর্টগুলো পেশ করা হবে। এটা আমি প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি।